দেরাদুন, 10 মার্চ : রাজ্য়ে ভোটের বাকি আর মাত্র এক বছর ৷ এর মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী পদে বদলে যাচ্ছে মুখ ৷ আজ, বুধবার বিকেল চারটেয় উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিচ্ছেন তিরথ সিং রাওয়াত ৷ মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি ত্যাগ করেছেন ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত ৷ তারপরই এই রদবদল ৷
56 বছরের তিরথ বিজেপির সাংসদ ৷ বিভিন্ন সময়ে বহু গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি ৷ 2013 থেকে 2015 সাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড রাজ্য় বিজেপির সভাপতি ছিলেন ৷ রয়েছে বিধায়ক পদে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ৷
ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত পদত্যাগ করার পরই তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তাই নিয়ে শুরু হয় জল্পনা ৷ তিরথ সিং রাওয়াত ছাড়াও দৌড়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং উত্তরাখণ্ড মন্ত্রিসভার সদস্য ধন সিং রাওয়াত ৷
বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তরাখণ্ডের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতকে নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল রাজ্য বিজেপির অন্দরে ৷ তাঁর কাজে খুশি ছিলেন না দলেরই একটা বড় অংশ ৷ এরই মধ্যে জল্পনা শুরু হয়, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগেই নেতৃত্বে রদবদল ঘটাতে চলেছে গেরুয়া শিবির ৷ যার জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদে ত্রিবেন্দ্রর টিকে থাকা নিয়েই তৈরি হয় অনিশ্চয়তা ৷ এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ত্রিবেন্দ্র ৷ তবে গোটা ঘটনায় তিনি নিজে যে খুব একটা খুশি নন, তা বোঝা গিয়েছে ত্রিবেন্দ্রর একটি মন্তব্য়েই ৷ মঙ্গলবার সাংবাদিকরা তাঁর কাছে এই অপসারণের কারণ জানতে চান ৷ যার উত্তরে ত্রিবেন্দ্র বলেন, ‘‘দিল্লি গিয়ে জিজ্ঞেস করুন, কেন আমাকে সরানো হল’’ ৷
আরও পড়ুন : পদত্যাগ করলেন উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াত
সূত্রের খবর, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা ভোটের ঘণ্টা বেজে যাবে ৷ সেক্ষেত্রে বিজেপির রণকৌশল কী হবে, তা স্থির করার গুরুদায়িত্ব সামলাতে হবে
তিরথ সিং রাওয়াতকে ৷ যা খুব একটা সহজ কাজ নয় ৷ কারণ, পূর্বসূরীর মতোই তিরথ সিংয়েরও জনভিত্তি অত্যন্ত দুর্বল ৷ আমজনতার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নেই বললেই চলে ৷ ফলে আর যাই হোক, তাঁকে জননেতা বলা যায় না মোটেই ৷ বরং সংগঠনের সঙ্গে প্রাক্তন এই আরএসএস সদস্যের সম্পর্ক অনেক গভীর ৷
মুখ্যমন্ত্রী পদে তাঁকে দায়িত্ব নিতে হবে ৷ একথা জানার পরই উচ্ছ্বসিত তিরথ সিং রাওয়াত বলেন, ‘‘আমি সংঘের প্রচারক ছিলাম ৷ ত্রিবেন্দ্র সিং রাওয়াতের নেতৃত্বে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যও হয়েছি ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ এবং সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির কাছে আমি কৃতজ্ঞ ৷ এমন একটা দিন যে আসবে, আমি কোনও দিনই ভাবতেই পারিনি !’’