ETV Bharat / bharat

জন্মের পরই মা'র মৃত্যুতে শেখা হয়নি শিকার, মানুষের উপর আক্রমণে সারাজীবন বন্দি বাঘ ছানারা

Tigers Get Life Imprisonment: জন্মের পরই মার মৃত্যু হওয়ায় শিকার শিখে উঠতে পারেনি বাঘের দুটি শাবক ৷ ফলে জঙ্গলে ছাড়ার পরই মানুষের উপর আক্রমণ করে বসে তারা ৷ যাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয় ৷ ঘটনার পরই সারাজীবনের মতো খাঁচার বন্দি হল বাঘ দুটি ৷

Tiger
বাঘ
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 30, 2023, 11:13 AM IST

ভোপাল, 29 নভেম্বর: শিকারের শিক্ষা দিয়ে যায়নি বাঘিনী। সন্তানের জন্ম দিয়ে মৃত্যু হয় তার। পরিণাম মারাত্মক। মাতৃ হারা বাঘের ছানাদের জঙ্গলে নয় বরং আজীবন জেল বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কিন্তু কেন...

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে দুটি বাঘ শৈশব থেকেই মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ৷ ঘরোয়া পরিবেশে থেকে বড় হয়ে উঠছিল ছানারা। ফলে হাতে করে শিকার করা শেখানোর কেউ ছিল না ৷ তাই শিকার করা কোনওদিনই শিখতে উঠতে পারেনি বাঘ ছানারা ।

এরপর বাঘের বয়স পাঁচ বছর হওয়ার পর কলার আইডি পরিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে ৷ হঠাৎ ঘর থেকে মুক্ত আকাশে গিয়েই মানুষের উপর আক্রমণ করা শুরু করে বাঘ দুটি । তাদের হামলায় প্রাণ হারান পাঁচজন ৷ তারপরেই দুটি বাঘ ছানাকে বন্দি করা হয় ৷ বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ থেকে ভোপালের বন বিহার জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছে বাঘগুলিকে ৷ আর খোলা আকাশের নীচে থাকা হবে না তাদের ৷ জঙ্গল ছেড়ে সারাজীবন বন্দি থাকতে হবে এই খাঁচার ভিতরেই ।

বাঘগুলি জঙ্গলের নিয়ম শিখতে পারেনি

দুই শাবকের জন্মের কয়েকদিন পরেই মৃত্যু হয় তাদের মায়ের । এরপর উভয় বাঘকে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ৷ তখন বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের মধ্যেই একটি বড় ঘের তৈরি করে এবং শাবক দুটিকে সেখানে রেখে দেয় । যখন তারা বড় হতে শুরু করে তখন কর্তৃপক্ষ তাদের শিকার শেখানোর জন্য ছোট প্রাণীদের ছেড়ে দেওয়া শুরু করে ৷ তারা শিকারও করেছিল ৷ কিন্তু তারা ঘরে বসবাস করে জঙ্গলের আসল নিয়ম শিখতে পারেনি । যা মা থাকলে তাদের শেখাত ৷

সারাজীবন খাঁচার বন্দি থাকবে বাঘ দুটি

বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের ডেপুটি ডিরেক্টর পি কে ভার্মা বলেছেন, "মানুষের উপর বারবার আক্রমণের পরে পাক কর্তৃপক্ষ দুই মাস আগে বাঘগুলিকে ভোপালে স্থানান্তর করার জন্য বন দফতরের অনুমতি চেয়েছিল । অনুমতি পাওয়ার পর তাদেরকে ভোপালের বন বিহারে পাঠানো হল । দুটি বাঘই জঙ্গলে থাকার উপযুক্ত নয় । তাদের জঙ্গলে ফেলে রাখলে খিদেতে মারা যেত ৷ কারণ তারা শিকার করতে জানে না ৷ এছাড়াও বড় বাঘের আক্রমণের মুখেও পড়তে হত বাঘগুলিকে ।"

বাঘেদের প্রথম শিক্ষক মা

অন্যদিকে, বন বিহারের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক অতুল গুপ্ত উভয় বাঘকে পরীক্ষা করেছেন । দুটি বাঘেরই বয়স 5 বছর এবং দুটিই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে । দুটি বাঘই এখন বন বিহারে তাদের পুরো জীবন বন্দি হয়ে কাটাবে । বন বিহারের সহকারী পরিচালক সুনীলকুমার সিনহা জানান, বর্তমানে বন বিহারে 13টি বাঘ রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে । বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুদেশ বাঘমারে বলেন, "বাঘের জগৎ আলাদা । শাবক প্রসবের পর মা তাদের বড় করে শিকার করতে শেখায় । যখন তারা শিকার করতে শেখে তখন বাঘেরা নিজস্ব অঞ্চল তৈরি করে ।"

আরও পড়ুন:

  1. শীতের শুরুতেই রোদ পোহাতে বাইরে বেরিয়েছেন বাঘমামা, দেখুন ভিডিয়ো
  2. 27 নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের বার্ষিক বাঘ গণনার কাজ
  3. দিনেদুপুরে ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্তে রাস্তা পার হচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল, ভাইরাল ভিডিয়ো

ভোপাল, 29 নভেম্বর: শিকারের শিক্ষা দিয়ে যায়নি বাঘিনী। সন্তানের জন্ম দিয়ে মৃত্যু হয় তার। পরিণাম মারাত্মক। মাতৃ হারা বাঘের ছানাদের জঙ্গলে নয় বরং আজীবন জেল বন্দি করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। কিন্তু কেন...

মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভে দুটি বাঘ শৈশব থেকেই মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ৷ ঘরোয়া পরিবেশে থেকে বড় হয়ে উঠছিল ছানারা। ফলে হাতে করে শিকার করা শেখানোর কেউ ছিল না ৷ তাই শিকার করা কোনওদিনই শিখতে উঠতে পারেনি বাঘ ছানারা ।

এরপর বাঘের বয়স পাঁচ বছর হওয়ার পর কলার আইডি পরিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় জঙ্গলে ৷ হঠাৎ ঘর থেকে মুক্ত আকাশে গিয়েই মানুষের উপর আক্রমণ করা শুরু করে বাঘ দুটি । তাদের হামলায় প্রাণ হারান পাঁচজন ৷ তারপরেই দুটি বাঘ ছানাকে বন্দি করা হয় ৷ বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ থেকে ভোপালের বন বিহার জাতীয় উদ্যানে আনা হয়েছে বাঘগুলিকে ৷ আর খোলা আকাশের নীচে থাকা হবে না তাদের ৷ জঙ্গল ছেড়ে সারাজীবন বন্দি থাকতে হবে এই খাঁচার ভিতরেই ।

বাঘগুলি জঙ্গলের নিয়ম শিখতে পারেনি

দুই শাবকের জন্মের কয়েকদিন পরেই মৃত্যু হয় তাদের মায়ের । এরপর উভয় বাঘকে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় ৷ তখন বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ জঙ্গলের মধ্যেই একটি বড় ঘের তৈরি করে এবং শাবক দুটিকে সেখানে রেখে দেয় । যখন তারা বড় হতে শুরু করে তখন কর্তৃপক্ষ তাদের শিকার শেখানোর জন্য ছোট প্রাণীদের ছেড়ে দেওয়া শুরু করে ৷ তারা শিকারও করেছিল ৷ কিন্তু তারা ঘরে বসবাস করে জঙ্গলের আসল নিয়ম শিখতে পারেনি । যা মা থাকলে তাদের শেখাত ৷

সারাজীবন খাঁচার বন্দি থাকবে বাঘ দুটি

বান্ধবগড় টাইগার রিজার্ভের ডেপুটি ডিরেক্টর পি কে ভার্মা বলেছেন, "মানুষের উপর বারবার আক্রমণের পরে পাক কর্তৃপক্ষ দুই মাস আগে বাঘগুলিকে ভোপালে স্থানান্তর করার জন্য বন দফতরের অনুমতি চেয়েছিল । অনুমতি পাওয়ার পর তাদেরকে ভোপালের বন বিহারে পাঠানো হল । দুটি বাঘই জঙ্গলে থাকার উপযুক্ত নয় । তাদের জঙ্গলে ফেলে রাখলে খিদেতে মারা যেত ৷ কারণ তারা শিকার করতে জানে না ৷ এছাড়াও বড় বাঘের আক্রমণের মুখেও পড়তে হত বাঘগুলিকে ।"

বাঘেদের প্রথম শিক্ষক মা

অন্যদিকে, বন বিহারের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক অতুল গুপ্ত উভয় বাঘকে পরীক্ষা করেছেন । দুটি বাঘেরই বয়স 5 বছর এবং দুটিই সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে । দুটি বাঘই এখন বন বিহারে তাদের পুরো জীবন বন্দি হয়ে কাটাবে । বন বিহারের সহকারী পরিচালক সুনীলকুমার সিনহা জানান, বর্তমানে বন বিহারে 13টি বাঘ রয়েছে, যার মধ্যে তিনটি প্রদর্শনীর জন্য রাখা হয়েছে । বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ সুদেশ বাঘমারে বলেন, "বাঘের জগৎ আলাদা । শাবক প্রসবের পর মা তাদের বড় করে শিকার করতে শেখায় । যখন তারা শিকার করতে শেখে তখন বাঘেরা নিজস্ব অঞ্চল তৈরি করে ।"

আরও পড়ুন:

  1. শীতের শুরুতেই রোদ পোহাতে বাইরে বেরিয়েছেন বাঘমামা, দেখুন ভিডিয়ো
  2. 27 নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের বার্ষিক বাঘ গণনার কাজ
  3. দিনেদুপুরে ওড়িশা-অন্ধ্র সীমান্তে রাস্তা পার হচ্ছে রয়্যাল বেঙ্গল, ভাইরাল ভিডিয়ো

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.