নয়াদিল্লি, 14 এপ্রিল: দিল্লি উচ্চ বিচার বিভাগের তিন আধিকারিককে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করা হচ্ছে ৷ গত বুধবারই তাঁদের নাম প্রস্তাব আকারে পেশ করেছিল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম ৷ সংশ্লিষ্ট কলেজিয়ামে রয়েছেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিশন কউল এবং বিচারপতি কে এম জোসেফ ৷ শুক্রবার তাঁরা বুধবারের প্রস্তাবটিকে ছাড়পত্র দেন ৷
যে তিনজনকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হতে চলেছে, তাঁরা হলেন গিরীশ কাঠপালিয়া, ধর্মেশ শর্মা এবং মনোজ জৈন ৷ এদিন একইসঙ্গে এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিবিআই) মতামতও প্রকাশ্য়ে আনে সংশ্লিষ্ট কলেজিয়াম ৷ প্রস্তাব আকারে পেশ করা তিনটি নাম নিয়ে তাদের কী মতামত, সেটাই জানতে চাওয়া হয়েছিল সিবিআইয়ের কাছে ৷ তার প্রেক্ষিতে নিজেদের মত জানিয়েছেন ওই সংস্থা ৷
গিরীশ কাঠপালিয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জাজমেন্ট এভোলিউশন কমিটির তরফে বলা হয়েছে, গিরীশ যে রায়গুলি লিখেছেন, সেগুলি অসামান্য (আউটস্ট্যান্ডিং) ৷ অন্যদিকে, তাঁর সম্পর্কে সিবিআইয়ের পর্যবেক্ষণ হল, গিরীশের পেশাদার এবং ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো ৷ তাঁর সততা নিয়ে তাই কোনও প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই ৷ এর প্রেক্ষিতে কলেজিয়ামের বক্তব্য হল, তারা সবদিক বিবেচনা করে গিরীশকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷ তাঁকে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে ৷
ধর্মেশ শর্মার ক্ষেত্রেও কার্যত একই পর্যবেক্ষণ সামনে এসেছে ৷ তাঁর সম্পর্কে কলেজিয়ামের বক্তব্য হল, দিল্লি হাইকোর্টের সঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে সিবিআই এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের ৷ তাঁদের মতে, আদালতের একজন আধিকারিক হিসাবে দীর্ঘ সময় ধরে খুব ভালো কাজ করে গিয়েছেন ধর্মেশ ৷ তাই তাঁকেও বিচারপতি পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: কলেজিয়াম প্রস্তাবিত পাঁচজন বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে ছাড়পত্র শীঘ্রই, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র
বিচার বিভাগের তৃতীয় আধিকারিক মনোজ জৈন সম্পর্কেও একই অবস্থান নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিটি ও সিবিআই ৷ তাঁরও পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবনের ভাবমূর্তি অত্যন্ত ভালো বলে জানানো হয়েছে ৷ তাই তাঁকেও দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷