আগরতলা, 27 সেপ্টেম্বর: এক ব্যক্তির উপর অত্যাচার ও হেনস্তার ঘটনায় ত্রিপুরা পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করল ওই রাজ্যের মানবাধিকার কমিশন ৷ এই ঘটনাকে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন বড় ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবেই দেখছে ৷ তারা ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে ৷
এই নিয়ে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশন একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ৷ সেখানে তারা জানিয়েছে যে তাঁদের কাছে মনি দাস শিব নামে এক মহিলা মানবাধিকার লঙ্ঘনের এই অভিযোগ করেন ৷ তিনি ত্রিপুরার নরসিংহগড়ের বাসিন্দা ৷ তাঁর অভিযোগ ছিল, 2022 সালের 11 সেপ্টেম্বর তাঁর স্বামী সুজিতকুমার শিবকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ যে দু’জন ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের একজনের নাম সুমন মিয়াঁ ও দ্বিতীয়জনের নাম রবিল মিয়াঁ ৷
মানবাধিকার কমিশনের কাছে করা অভিযোগে ওই মহিলা আরও জানান, তাঁরা আগরতলা বিমানবন্দর থানায় সুজিতকে নিয়ে যায় ৷ সেখান থেকে ত্রিপুরা পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টর বিশ্বজিৎ দাস তাঁকে রামনগর ফাঁড়িতে নিয়ে যান ৷ সেখানেই সুজিতের উপর নির্যাতন করা হয় ৷ তাঁকে হেনস্তা করা হয় ৷
অভিযোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে কমিশন তদন্ত শুরু করে । মানবাধিকার কমিশনের তরফে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি ও কমিশনের তদন্ত বিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় । এর পর ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি ও কমিশনের তদন্ত বিভাগের দেওয়া রিপোর্ট পর্যালোচনা করা হয় ৷ তদন্ত সংক্রান্ত সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হয় ৷ তার পরই কমিশন এই সিদ্ধান্তে পৌঁছয় যে এসআই বিশ্বজিৎ দাসই সুজিতকুমার শিবের উপর নির্যাতন করেছে ৷ তাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ত্রিপুরা সরকারকে সুপারিশ করেছে ৷
একই সঙ্গে ত্রিপুরা মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশ, সুজিতকুমার শিবকে 1 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷ ওই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরকে একমাসের মধ্যে এই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ৷ এই টাকা দিতে হবে এসআই বিশ্বজিৎ দাসের বেতন থেকে ৷
আরও পড়ুন: সিগারেট নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ঝামেলা, বিশাখাপত্তনমে শ্বাসরোধ করে হত্যা কিশোরকে !