ETV Bharat / bharat

Independence Day : জঙ্গলমহলের গভীরে লুকিয়ে স্বাধীনতার অজানা ইতিহাস

বাঁকুড়া শহরের অদূরে অবস্থিত জঙ্গলমহল ৷ দীর্ঘদিন ধরে বহন করে চলেছে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের ইতিহাস ৷ যা আমাদের অনেকেরই অজানা ৷ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম-সহ অনেকের কাছেই জঙ্গলমহলের এই গুপ্ত জায়গা ছিল অনেকটা নিরাপদ ৷ তৎকালীন ব্রিটিশদের চোখে ধুলো দিয়ে এখানেই গোপনে চলত অস্ত্রশিক্ষা-সহ নানাবিধ ক্রিয়াকলাপ ৷

স্বাধীনতা
স্বাধীনতা
author img

By

Published : Aug 15, 2021, 5:02 PM IST

বাঁকুড়া, 15 অগস্ট : একটা সময় জঙ্গলমহল মানেই ছিল মুখ আর মুখোশের খেলা ৷ জঙ্গলমহল মানেই ছিল গভীর অরণ্যে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা মানুষগুলোর চোখ রাঙানি ৷ কিন্তু প্রান্তিক এই জঙ্গলমহলও যে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের সাক্ষী তা আমাদের অনেকেরই অজানা ৷ এই জঙ্গলে চলত বিপ্লবীদের অবাধ আনাগোনা ৷ চলত ব্রিটিশদের বিতাড়িত করার বিভিন্ন পরিকল্পনা ।

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় 85 কিমি দূরে কিছুটা শাল-সেগুনের গভীর অরণ্য পেরিয়ে গেলেই পড়ে ছেন্দাপাথর ৷ এখানেই রয়েছে শহিদ ক্ষুদিরামের স্মৃতি বিজড়িত অন্তরাল স্থান । অম্বিকানগরের রাজা রায়চরণ ধবলদেবের সহযোগিতায় ক্ষুদিরাম বসু, বারীন ঘোষ ও নরেন গোঁসাই-সহ আরও অনেকে এই দুর্গম অরণ্যে ঘেরা ছেন্দাপাথরকে বেছে নিয়েছিলেন বোমা বানানো, অস্ত্র প্রশিক্ষণের নিরাপদ স্থান হিসাবে ৷

এখান থেকে একটু দূরেই ঝাড়খণ্ড সীমানা ৷ সেই কারণে এই ছেন্দাপাহাড় থেকে খুব সহজেই ভিনরাজ্যেও বৈপ্লবিক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়া যেত ৷ যোগাযোগ করা যেত সেখানকার বিপ্লবীদের সঙ্গেও ৷ আর সবটাই চলত ব্রিটিশ রক্তচক্ষুর আড়ালে ৷

আরও পড়ুন : Independence Day : মাস্টারদা'র সহযোগী অনুরূপ চন্দ্র সেনকে ভুলতে বসেছে বুড়ুল গ্রাম

জানা গিয়েছে, এই স্থানে একটি মাটির ঘর ছিল ৷ যার মধ্যে ছিল একটি গুহা ৷ কথিত আছে এই গুহা নাকি অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । যার ফলে খুব সহজেই ভারত মায়ের বীর সন্তানেরা নিজেদেরকে ব্রিটিশদের থেকে দূরে থাকতে সমর্থ্য হতেন । এখান থেকেই নাকি বিপ্লবীরা অভিনব পদ্ধতিতে মাটির বোমা (ওপরের আবরণ মাটির ও ভেতরে বারুদ) সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন ।

জঙ্গলমহলের গভীরে লুকিয়ে স্বাধীনতার অজানা ইতিহাস

স্থানীয় ছেন্দাপাথর হাইস্কুলের ইনচার্জ মানস মুখোপাধ্যায়ের কথায়, "অনেক স্থানীয় মানুষ শহিদ ক্ষুদিরামদের এই বৈপ্লবিক কাজকর্মে সাহায্য করেছিলেন ৷ তাঁদের নাম হয়তো ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে না । তবে এই জায়গা আজও তাঁদের স্মৃতি বহন করে চলেছে ৷"

সরকারের হস্তক্ষেপে এখন ছেন্দাপাথরের এই জায়গায় অবস্থিত মাটির গুহা এখন ইট বাঁধানো এক কুয়োর রূপ পেয়েছে ৷ মাটির দেওয়াল এখন পাকা ইটের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা । তবে জায়গাটি এখনও ইতিহাস বহন করে চলেছে ৷ স্থানীয়দের মতে এই দুর্গম ক্ষেত্র যদি আরেকটু প্রচার পায় ,তাহলে সাধারণ মানুষের এক ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দনের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পাবে বনে ঘেরা ছেন্দাপাথর ।

আরও পড়ুন : Bhagat Singh : খণ্ডঘোষের পাতাল ঘরে বসেই দিল্লি গণপরিষদে বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনা ভগৎ সিংয়ের

বাঁকুড়া, 15 অগস্ট : একটা সময় জঙ্গলমহল মানেই ছিল মুখ আর মুখোশের খেলা ৷ জঙ্গলমহল মানেই ছিল গভীর অরণ্যে নিয়ে গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা মানুষগুলোর চোখ রাঙানি ৷ কিন্তু প্রান্তিক এই জঙ্গলমহলও যে বৈপ্লবিক কার্যকলাপের সাক্ষী তা আমাদের অনেকেরই অজানা ৷ এই জঙ্গলে চলত বিপ্লবীদের অবাধ আনাগোনা ৷ চলত ব্রিটিশদের বিতাড়িত করার বিভিন্ন পরিকল্পনা ।

বাঁকুড়া শহর থেকে প্রায় 85 কিমি দূরে কিছুটা শাল-সেগুনের গভীর অরণ্য পেরিয়ে গেলেই পড়ে ছেন্দাপাথর ৷ এখানেই রয়েছে শহিদ ক্ষুদিরামের স্মৃতি বিজড়িত অন্তরাল স্থান । অম্বিকানগরের রাজা রায়চরণ ধবলদেবের সহযোগিতায় ক্ষুদিরাম বসু, বারীন ঘোষ ও নরেন গোঁসাই-সহ আরও অনেকে এই দুর্গম অরণ্যে ঘেরা ছেন্দাপাথরকে বেছে নিয়েছিলেন বোমা বানানো, অস্ত্র প্রশিক্ষণের নিরাপদ স্থান হিসাবে ৷

এখান থেকে একটু দূরেই ঝাড়খণ্ড সীমানা ৷ সেই কারণে এই ছেন্দাপাহাড় থেকে খুব সহজেই ভিনরাজ্যেও বৈপ্লবিক কার্যকলাপ ছড়িয়ে দেওয়া যেত ৷ যোগাযোগ করা যেত সেখানকার বিপ্লবীদের সঙ্গেও ৷ আর সবটাই চলত ব্রিটিশ রক্তচক্ষুর আড়ালে ৷

আরও পড়ুন : Independence Day : মাস্টারদা'র সহযোগী অনুরূপ চন্দ্র সেনকে ভুলতে বসেছে বুড়ুল গ্রাম

জানা গিয়েছে, এই স্থানে একটি মাটির ঘর ছিল ৷ যার মধ্যে ছিল একটি গুহা ৷ কথিত আছে এই গুহা নাকি অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল । যার ফলে খুব সহজেই ভারত মায়ের বীর সন্তানেরা নিজেদেরকে ব্রিটিশদের থেকে দূরে থাকতে সমর্থ্য হতেন । এখান থেকেই নাকি বিপ্লবীরা অভিনব পদ্ধতিতে মাটির বোমা (ওপরের আবরণ মাটির ও ভেতরে বারুদ) সারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন ।

জঙ্গলমহলের গভীরে লুকিয়ে স্বাধীনতার অজানা ইতিহাস

স্থানীয় ছেন্দাপাথর হাইস্কুলের ইনচার্জ মানস মুখোপাধ্যায়ের কথায়, "অনেক স্থানীয় মানুষ শহিদ ক্ষুদিরামদের এই বৈপ্লবিক কাজকর্মে সাহায্য করেছিলেন ৷ তাঁদের নাম হয়তো ইতিহাস খুঁজলে পাওয়া যাবে না । তবে এই জায়গা আজও তাঁদের স্মৃতি বহন করে চলেছে ৷"

সরকারের হস্তক্ষেপে এখন ছেন্দাপাথরের এই জায়গায় অবস্থিত মাটির গুহা এখন ইট বাঁধানো এক কুয়োর রূপ পেয়েছে ৷ মাটির দেওয়াল এখন পাকা ইটের বেষ্টনী দিয়ে ঘেরা । তবে জায়গাটি এখনও ইতিহাস বহন করে চলেছে ৷ স্থানীয়দের মতে এই দুর্গম ক্ষেত্র যদি আরেকটু প্রচার পায় ,তাহলে সাধারণ মানুষের এক ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দনের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পাবে বনে ঘেরা ছেন্দাপাথর ।

আরও পড়ুন : Bhagat Singh : খণ্ডঘোষের পাতাল ঘরে বসেই দিল্লি গণপরিষদে বোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনা ভগৎ সিংয়ের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.