কোচি, 12 অক্টোবর: সমৃদ্ধি লাভের চেষ্টায় কালা জাদুর শরণাপন্ন হয়ে দুই মহিলাকে অপহরণ ৷ পরে তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশ টুকরো-টুকরো করে মাটির নীচে পুঁতে দেওয়া ৷ কোচির ঘটনায় শিউরে উঠেছে দেশ (Kochi Human Sacrifice case) ৷ তবে শিহরণের এখানেই শেষ নয় ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে যে নয়া তথ্য পরিবেশন করেছে, তা শিরদাঁড়ায় আতঙ্কের চোরাস্রোত বইয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ৷ পুলিশ জানাচ্ছে, দুই মহিলার দেহ কেবল টুকরো করে পুঁতে দেওয়াই নয়, গুণিন মহম্মদ শফি-র নির্দেশে সেগুলো রান্না করে সেবনও করে অভিযুক্ত দম্পতি (The accused cooked and ate body parts of the victims) ৷ আদালতে পেশ করা হলে তিন অভিযুক্তকেই এদিন 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে (Court remanded three accused to 14 days of JC) ৷
বুধবার অভিযুক্তদের এর্নাকুলামের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয় ৷ আদালতে পেশ করার সময় তিন অভিযুক্ত মহম্মদ শফি এবং বগওয়াল সিং'য়ের মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা থাকলেও আরেক অভিযুক্ত অর্থাৎ বগওয়ালের স্ত্রী লায়লার মুখ খোলাই ছিল ৷ পুলিশ জানিয়েছে এই প্রথম নয়, কালা জাদুতে বশ করে এর আগেও এক মহিলাকে বলি দেওয়ার জন্য তার ডেরায় এনেছিল শফি ৷ কিন্তু ওই মহিলা পরিবারকে শফির ঠিকানা জানিয়ে দিলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায় ৷ শিশু-সহ এক পরিবারকে একই কারণে অভিযুক্ত গুণিন ডেরায় এনেছিল বলেও খবর রয়েছে পুলিশের কাছে ৷ তবে ওই পরিবারের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, তা সম্পর্কে এখনও অবগত নয় পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: কালা জাদুতে সমৃদ্ধি লাভের চেষ্টা, বলি 2 মহিলাকে
প্রাথমিক তদন্তের পর কোচির পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানিয়েছেন, বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন শফি নাকি একাধিক ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়ে ৷ শফিই পুরো ঘটনার নীল নকশা সাজিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ পুলিশ কমিশনারের কথায় কালা জাদুর শিকার দুই মহিলাকে খুনের পর তাদের শরীরে অংশগুলি অভিযুক্ত দম্পতি থিরুভালার বাড়িতে গর্ত করে পুঁতে রেখেছিল ৷ ঘটনার শিকার দুই মহিলা লটারির টিকিট বিক্রি করে দিন গুজরান করতেন বলেই খবর ৷ ডিএনএ পরীক্ষার পরেই দুই মহিলার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবে পুলিশ ৷