দুবাই, 12 জুলাই: আবারও স্পাইস জেটের বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিল। আর তার জেরে সোমবার মাদুরাই থেকে দুবাই গিয়ে আর ফিরতে পারল না একটি বিমান। যাত্রীদের মাদুরাই ফেরাতে বিকল্প বিমান পাঠাতে হল উড়ান সংস্থাকে (Technical jolt in SpiceJet flight in Dubai Airport)। এই প্রথম নয় গত 24 দিনে মোট 9 বার যান্ত্রিক গোলমাল দেখা দিল স্পাইসের বিমানে। যাত্রী পরিষেবা নিয়ে এভাবে প্রশ্ন ওঠায় 6 জুলাই ডিজিসিএ-র তরফ থেকে শো-কজ করা হয় উড়ান সংস্থাকে। তার এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়ল স্পাইস। যদিও উড়ান সংস্থার দাবি, নানা কারণ নির্দিষ্ট গন্ত্যবে পৌঁছতে বিমানের অতিরিক্ত সময় লাগতেই পারে। তবে এখানে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি যার জেরে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে!
জানা গিয়েছে, দুবাই পৌঁছনোর পর বিমানটির পরীক্ষা করতে গিয়ে বেশ কিছু ত্রুটি দেখতে পান এক ইঞ্জিনিয়ার। বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে আশঙ্কা করে বিমানটির যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরপর দুবাই বিমান বন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে আরেকটি বিমান পাঠায় স্পাইস। স্বভাবতই গোটা ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। পাশাপাশি যাত্রী নিরাপত্তা নিয়েও উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: একদিনে দু'বার, করাচির পর মুম্বইয়েও জরুরি অবতরণ স্পাইসজেট বিমানের
এর আগে গত 1 মাসের কম সময়ের মধ্যে 8 বার নানা ধরনের বিভ্রাট দেখা গিয়েছে স্পাইসজেটের বিমানে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্পাইসের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাদুরাই আর দুবাইয়ের মধ্যে যাতায়াতকারী বিমানটিতে সোমবার কয়েকটি প্রযুক্তিগত সমস্যা ধরা পড়েছিল। আর তার জেরেই ওই বিমানটির যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়। যাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে দ্রুত আরও একটি বিমান পাঠানো হয়েছে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে এ ধরনের কারণে দেরি হওয়া অস্বভাবিক নয়। তবে এদিন এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি যার জেরে যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।'
এদিকে ঠিক যখন স্পাইসের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তখনই সংস্থার দাবি আগের থেকে অনেক বেশি পরিমাণে যাত্রী ভরসা রাখছেন সংস্থার উপরে। স্পাইসের চেয়ারম্যান অজয় সিং জানিয়েছেন, 1 থেকে 11 জুলাইয়ের মধ্যে প্য়াসেঞ্জার লোড ফ্যাক্টর (পিএলএফ) 80 শতাংশের উপরে ছিল। আমাদের উপর আস্থা রাখার জন্য যাত্রীদের ধন্যবাদ জানাই। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় স্পাইসজেটই ভারতীয় সবথেকে পছন্দের উড়ান সংস্থা।