কলকাতা, 8 ডিসেম্বর : কলকাতায় পৌরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই শাসক-বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ ঘিরে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি ৷ এবার কার্যত হাতে বল তুলে নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ বুধবার নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাসক শিবির এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে কয়েকটি বাউন্সার ছুঁড়ে দেন তিনি ৷ এমনকি তিনি এও বলেন, রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের কাছে আবেদন করব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে (Suvendu Adhikari says he will appeal to Governor and president to take step against Mamata Banerjee)।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই মমতাকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, "ভবানীপুরে উপনির্বাচনে ভবানীপুরের অনেক বাসিন্দা ভোট দিতে আসেননি। কারণ কালিঘাট থানার আইসি-র নেতৃত্বে এলাকায় এলাকায় গিয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এই ফর্মুলায় ভবানীপুরে ভোট হয়েছে। রাজ্যে আধাসামরিক বাহিনী ছাড়া পৌরসভা ভোট সম্ভব নয়।" একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, "ভবানীপুরে উপ নির্বাচনে দক্ষিণ 24 পরাগনা থেকে বহু ভুয়ো ভোটার নিয়ে এসে এই ভোট করানো হয়েছিল।" কলকাতা পৌরনিগম ভোটে 8 লক্ষ নাগরিকের বাড়িতে সংকল্প পত্র পৌঁছে দেবে বিজেপি। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুরক্ষার বিষয়টা বিজেপি সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান শুভেন্দু ৷
আরও পড়ুন : একগুচ্ছ নতুন নাগরিক পরিষেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশ
পাশাপাশি এদিন তার দাবি, রাজ্যের কৃষকরা খুবই কষ্টের মধ্যে আছে । অন্য রাজ্যে কৃষকদের বিদ্যুত বিলের ছাড় আছে । কিন্ত এই রাজ্যে সেই ছাড় কৃষকদের দেওয়া হয়নি । প্রধানমন্ত্রীর পিএম কিষান প্রকল্প রাজ্য সরকার 4 বছর আটকে রেখেছিল । বাঁকুড়া, বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, পূর্ব মেদনীপুরের কৃষকদের 200 কোটি টাকা দেওয়ারও দাবি তোলেন তিনি । কারণ বৃষ্টির জলে সব শেষ হয়ে গিয়েছে । তার অভিযোগ, "ইমাম ভাতা দিয়েছেন 1200 কোটি টাকা । আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি তুলছি, আমি অনুরোধ করব কৃষি ঋণ মুকুব করুন । যোগী আদিত্যনাথ কৃষকদের 1 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দিয়েছেন । কাল চন্দ্রকোনায় একজন আলু চাষি আত্মহত্যা করেছেন । কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র তোমরকে আমি চিঠি পাঠিয়েছি । কিন্ত এটা রাজ্যের বিষয় ।"
তিনি আরও বলেন, "বিএসএফ যারা আমাদের সুরক্ষা দেয়, মুখ্যমন্ত্রী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন ? মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বিএসএফ বাইরের লোক । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও বিএসএফের মধ্যে অশান্তি লাগাতে চাইছে । বিএসএফ-কে অপদস্ত করে অনুপ্রবেশকারীকে সুরক্ষা দিতে চাইছেন । রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপালের কাছে আবেদন করব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ।"