নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি: নাবালিকার যৌন হেনস্থা নিয়ে সম্প্রতি বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে স্থগিত করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিতর্কিত ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেনুগোপালকে পিটিশন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। অ্যাটর্নি জেনারেল ওই রায় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, এটি খুবই ডিসটার্বিং। এই রায়ের ফলে মারাত্মক নজির সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ''অ্যাটর্নি জেনারেল ওই রায়টি আমাদের নজরে এনেছেন...ওই রায়ে পকসো আইনের 8 নম্বর ধারা অনুযায়ী অভিযুক্তকে বেকসুর বলে দাবি করেছে আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, নাবালিকার গোপনাঙ্গে হাত দিলেও ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ না-হলে এটা মনে করা হবে না যে, অভিযুক্ত যৌন হেনস্থা করতে চেয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন যে, এই রায় বেনজির এবং এর ফলে মারাত্মক নজির সৃষ্টি হতে পারে।''
হাইকোর্ট ওই রায়ে এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। সেই নির্দেশও স্থগিত রেখেছে শীর্ষ আদালত। 2016 সালের একটি মামলায় 12 বছরের এক কিশোরীকে যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত 39 বছরের এক ব্যক্তিকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। আদালতের যুক্তি ছিল, পকসো আইন অনুযায়ী জামাকাপড় খোলা না-হলে, অর্থাত্ ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ না-হলে, নাবালিকার স্তনে হাত দেওয়াটাকে যৌন হেনস্থা বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ না হলে যৌন নিপীড়ন নয় !
গত 19 জানুয়ারি এই বিতর্কিত রায় দেয় বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা তাঁর রায়ে বলেন, যৌন হেনস্থার উদ্দেশ্য নিয়ে কোনও নাবালিকার শরীরে হাত দিলে যদি ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ ঘটে, তবেই তাকে যৌন হেনস্থা বলা হবে। অর্থাত্ জামাকাপড়ের উপর দিয়ে গায়ে হাত দেওয়াটা যৌন হেনস্থা নয়। এই যুক্তিতে এক অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত। ওই ব্যক্তিকে 3 বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই বম্বে হাইকোর্টে আবেদন জানায় অভিযুক্ত।
নিগৃহীতা কিশোরী তাঁর জবানবন্দিতে অভিযোগ করেছিল যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি খাবার দেওয়ার নাম করে তাকে তার নাগপুরের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সে মেয়েটির স্তনে হাত দেয় এবং জামাকাপড় খোলার চেষ্টা করে।