নয়াদিল্লি, 28 সেপ্টেম্বর: 1983 সালের একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত 75 বছরের আসামির জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট ৷ বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত বলেছে, এই মামলার বিচার শেষ হতে 40 বছর লেগে গেল ৷
তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছেন ৷ এই মামলার 'বিচিত্র বৈশিষ্ট্য'-এর কথা উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত হাইকোর্টকে আসামির আবেদন মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য একে 'আউট অফ টার্ন অগ্রাধিকার' দিতে বলেছে ৷ বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ বলেছে, সাধারণত সাংবিধানিক আদালত বা অন্য কোনও আদালতে কোনও একটি মামলা নিষ্পত্তি করার সময়সূচি নির্ধারণের নির্দেশ দেওয়া উচিত নয় সুপ্রিম কোর্টের ৷ তবে 25 সেপ্টেম্বর পাশ হওয়া একটি নির্দেশে বেঞ্চ বলেছে, "এই মামলাটির একটি অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যে বিচারটি শেষ হতে 40 বছর সময় লেগেছে । তাই আইন অনুযায়ী এই আপিল নিষ্পত্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য আমরা হাইকোর্টকে অনুরোধ করছি ৷"
কলকাতা হাইকোর্টের 17 মে-র নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ওই ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করেছিল আদালত ৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে ৷
আরও পড়ুন: 'গত কয়েক মাসে কিছুই হয়নি', হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগ-বদলির বিলম্বে উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের
আবেদনকারী ব্যক্তি নির্যাতিতার মামা, এ কথা উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলে, অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে "আমরা আবাদনকারীর সাজা স্থগিত করা উপযুক্ত হবে বলে মনে করি না ৷" হাইকোর্ট তার আদেশে উল্লেখ করে যে, এই মামলায় একটি কিশোরীকে নৃশংস ভাবে ধর্ষণের পর তাকে একটি ঘরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় ৷ শীর্ষ আদালত তার আদেশ ঘোষণা করার সময় বলে যে, ঘটনাটি ঘটেছিল 1983 সালে এবং বিচার বিলম্বিত হওয়ার অনেক কারণ ছিল ৷
সুপ্রিম কোর্ট আজ বলেছে, "21 এপ্রিল, 2023-এ আবেদনকারীকে দোষী সাব্যস্ত করার আদেশের মাধ্যমে বিচার শেষ হয় । আবেদনকারী মামলা চলাকালীন পুরোটাই জামিনে ছিলেন । আবেদনকারীর বর্তমান বয়স প্রায় 75 বছর । উচ্চ আদালতে আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য গৃহীত হয়েছে ।"
বিচারের নিষ্পত্তিতে বিলম্বের বিষয়টি বিবেচনা করে বেঞ্চ বলেছে যে, ঘটনাটি 1983 সালের ঘটনা এবং আবেদনকারীর বর্তমান বয়সের কথা বিচার করে, "তিনি জামিন বাড়ানোর যোগ্য, যতদিন না যথাযথভাবে উচ্চ আদালতে তাঁর আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হচ্ছে ।" (সংবাদসংস্থা পিটিআই)