নয়াদিল্লি, 14 নভেম্বর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের (Netaji Subhash Chandra Bose) জন্মদিনে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করা হোক ৷ 23 জানুয়ারি এই ছুটি ঘোষণা করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিক সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷ এমনই দাবি নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল শীর্ষ আদালতে ৷ সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachud) ও বিচারপতি জে বি পর্দিওয়ালার বেঞ্চে এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ৷ আদালতের বক্তব্য, নেতাজি যেভাবে স্বাধীনতার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন, সেইভাবে কাজ করে যাওয়াই তাঁর জন্মদিন উদযাপনের সেরা উপায় ৷
এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে ভারত সরকার (Government of India) ৷ তবে আবেদনকারীদের তরফে শিশু দিবস, বুদ্ধ পূর্ণিমার মতো ছুটির দিনগুলির কথা উল্লেখ করে নেতাজি জয়ন্তীতে (Netaji Birthday) ছুটির জন্য় আবেদন করা হয়েছিল ৷ কিন্তু প্রধান বিচারপতি মামলাকারীকে জানান যে জনস্বার্থ মামলার (PIL) বিষয়টিকে উপহাসের জায়গায় না নিয়ে যাওয়াই ভালো ৷ তবে আবেদনকারী কে কে রমেশ জানিয়েছেন যে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে আবেদন করেছিলেন ৷ কিন্তু সেখান থেকে এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি ৷
রমেশ তাঁর আবেদনে জানিয়েছেন যে প্রতিটি রাজ্যে নেতাজির স্মরণে মেমোরিয়াল হল ও মিউজিয়াম তৈরি করা উচিত ৷ মাদুরাইয়ের বাসিন্দা এই ব্যক্তির আরও বক্তব্য, নেতাজি দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেক আত্মত্যাগ করেছেন ৷ তাই প্রত্য়েক ভারতীয়র নেতাজির দিল্লি চলো (Delhi Chalo) ও জয় হিন্দ (Jai Hind) স্লোগান মনে রাখা উচিত ৷
এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে করা আবেদনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও করেন রমেশ ৷ তাঁর দাবি, স্বাধীনতা সংগ্রামে আইএনএ-র (INA) অনেক সৈনিক শহিদ হয়েছেন ৷ তার পরও নেতাজিকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার ৷ নেতাজিকে নিয়ে তথ্য গোপন করা হয়েছে ৷ বর্তমান প্রজন্মের পড়ুয়ারা নেতাজি ও তাঁর আইএনএ-র আত্মত্যাগ নিয়ে কিছুই জানে না ৷ জাপানের (Japan) মতো অনেক দেশই নেতাজিকে সম্মান করেছিল ৷
এছাড়া গান্ধিজি ও নেতাজির মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং নেতাজি ও নেহরুর মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা উল্লেখ করেও ওই আবেদনে একাধিক যুক্তি সাজানো হয় ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনতেই চাইল না ৷
আরও পড়ুন: নেতাজি অবিভক্ত ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, দাবি রাজনাথের