নয়াদিল্লি, 18 অগস্ট : সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগের জন্য 9 জন বিচারপতির নাম প্রস্তাব করল দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Supreme Court Collegium)৷ এই প্রথম কলেজিয়াম তিনজন মহিলা বিচারপতির নামে অনুমোদন দিয়েছে ৷ সেই তিনজন মহিলার মধ্যে রয়েছেন কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন (Justice BV Nagarathna) ৷ তিনি নিযুক্ত হলে 2027 সালে তাঁকে দেশের প্রধান বিচারপতির আসনে দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ৷ এই প্রত্যাশা বাস্তবায়িত হলে তিনিই হবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি (First Female CJI)৷
এ ছাড়াও যে দু'জন মহিলা বিচারপতির নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাঁরা হলেন, তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিমা কোহলি (Justice Hima Kohli) ও গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী (Justice Bela Trivedi) ৷ বেঞ্চে সরাসরি নিয়োগের জন্য শীর্ষ আইনজীবী পিএস নরসিংহের নাম প্রস্তাব করেছে কলেজিয়াম ৷ এ ছাড়াও যে বিচারপতিদের নাম কলেজিয়াম প্রস্তাব করেছে তাঁরা হলেন, গুজরাত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বিক্রম নাথ, সিকিম হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জিতেন্দ্র কুমার মাহেশ্বরী, কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভয় শ্রীনিবাস ওকা, কেরালা হাইকোর্টের বিচারপতি সিটি রবিকুমার ৷
কমিটির অন্যতম সদস্য বিচারপতি আর নরিম্যান সুপ্রিম কোর্ট থেকে অবসর নেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই এই প্রস্তাব করল কলেজিয়াম ৷ বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভয় ওকা ও ত্রিপুরার বিচারপতি আকিল কুরেশিকে অবিলম্বে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি নরিম্যান ৷ সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়ামের প্রস্তাব গৃহীত হলে আদালতে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হবে 33 ৷
একনজরে দেখে নেব প্রস্তাবিত তিন মহিলা বিচারপতির কর্মজীবন...
আরও পড়ুন: পকসো মামলার শুনানিতে বিশেষ আদালতের সংখ্যা এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম
বিচারপতি বিভি নাগরত্ন : বর্তমানে তিনি কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ৷ 1987 সালে তিনি কর্নাটক বার কাউন্সিলে নিজের নাম নথিভুক্ত করেন ৷ বেঙ্গালুরুতেই প্র্যাকটিস করতেন ৷ 2008 সালে তিনি কর্নাটক হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ৷ 2010 সালে তিনি স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন ৷ সেই পদেই তাঁর থাকার কথা 2024 সাল পর্যন্ত ৷ কারণ সে বছরই তিনি হাইকোর্টের অবসরের বয়সে পৌঁছচ্ছেন ৷
বিচারপতি বেলা ত্রিবেদী : 2016 সাল থেকে গুজরাত হাইকোর্টের বিচারপতি তিনি ৷ এর আগে 2011 সালের 17 ফেব্রুয়ারি থেকে সে বছরেরই 27 জুন পর্যন্ত তিনি অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ এরপর রাজস্থান হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হন তিনি ৷
বিচারপতি হিমা কোহলি : তিনি তেলাঙ্গানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ৷ প্রথম মহিলা বিচারপতি হিসেবে তিনি এই পদে আসীন হন ৷ এর আগে তিনি দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন ৷ 1984 সালে দিল্লি বার কাউন্সিলে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন কোহলি ৷ রাজধানীতেই তিনি প্র্যাকটিস করতেন ৷ তিনি সরকারের ন্যাশনাল ক্যাপিটাল টেরিটোরির প্রতিনিধি ছিলেন ৷ দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটি, জাতীয় কো-অপারেটিভ উন্নয়ন কর্পোরেশন-সহ দিল্লি ও কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সংস্থার তিনি আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন ৷