গোপালগঞ্জ (বিহার), 18 ফেব্রুয়ারি: সাইবার অপরাধের (Cyber Crime) সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হল ৷ বিহারের (Bihar) গোপালগঞ্জ (Gopalganj) থেকে তাঁদের গ্রেফতার করেন এসটিএফের সদস্যরা (STF Arrest two Cyber Criminals) ৷ গ্রেফতারির পর অভিযুক্তদের পড়শি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ধৃতদের কাছ থেকে ব্য়াংকের পাসবই, এটিএম কার্ড, স্মার্ট ফোন এবং একটি 40 গ্রাম ওজনের সোনার চেন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, বিহার পুলিশের এসটিএফ ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে পাকড়াও করা হয় ৷
এই ঘটনার সূত্রপাত আসানসোলে ৷ অভিযোগ, সেখানকার বাসিন্দা এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে নিশানা করে প্রতারকরা ৷ ওই মহিলার সঙ্গে মোট 1 কোটি 10 লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণা করা হয় ৷ প্রতারিত হয়েছেন বোঝার পর ওই সফটওয়্য়ার ইঞ্জিনিয়র পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ আসানসোল সাইবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি ৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছরের 30 ডিসেম্বর মামলা রুজু করে পুলিশ ৷ প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে নদিয়ার কল্য়াণী এবং হুগলির চুঁচূড়ার যোগ খুঁজে পায় পুলিশ ৷ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটকও করা হয় ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মেলে সাইবার প্রতারণা চক্রের (Cyber Fraud Gang) হদিশ ৷
আরও পড়ুন: লটারির লোভে 200 বার টাকা পাঠান অপরাধীকে ! 72 লক্ষ হারিয়ে সর্বস্বান্ত হিমাচলের বাসিন্দা
আসানসোল সাইবার থানার পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, এই ঘটনার জাল শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় নয়, ছড়িয়ে আছে পড়শি রাজ্য বিহারেও ৷ এমনকী, উত্তরপ্রদেশের সঙ্গেও এই চক্রের যোগ খুঁজে পান তদন্তকারীরা ৷ তারপর একে একে শুরু হয় অভিযান ৷ এই ঘটনাতেই গত 6 ফেব্রুয়ারি মোট পাঁচজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় ৷ তাঁদের জেরা করে আরও দু'জনের নাম পাওয়া যায় ৷ এঁদের মধ্য়ে একজন হলেন অনুজকুমার শর্মা এবং অন্যজনের নাম বিশ্বকর্মা শর্মা ৷ প্রথমজন বিহারের বিশ্বম্ভরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা ৷ দ্বিতীয়জনের বাড়ি উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরে ৷
গ্রেফতারির পর দুই অভিযুক্তকেই দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন তদন্তকারীরা ৷ তারপর তাঁদের আদালতে পেশ করা হয় ৷ আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে দুই অভিযুক্তকে এরপর ট্রানজিট রিমান্ডে আসানসোল নিয়ে যাওয়া হয় ৷ পুলিশের অনুমান, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেকের নাম সামনে আসবে ৷