করিমগঞ্জ, 2 জানুয়ারি : একেবারে কাঁটাতারের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ । সুড়ঙ্গের একটি মুখ অসমের করিমগঞ্জে । অন্য প্রান্তটি মাটির তলা দিয়ে চলে গেছে সোজা বাংলাদেশে । প্রায় 200 মিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গ । কীভাবে এই সুড়ঙ্গ তৈরি হল ? কারাই বা তৈরি করল ? তা জানতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে ।
প্রাথমিকভাবে অনুমান, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের জন্যই এই চোরাপথ ব্যবহার করা হত । গোরু পাচারকারী থেকে শুরু করে দুষ্কৃতী ও অন্যান্য গোপন অনুপ্রবেশকারীরা এই সুড়ঙ্গপথ ব্যবহার করত বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।
করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার জানিয়েছেন, তাঁরা এই এলাকায় একটি অপহরণের ঘটনার কিনারা করতে এসেছিলেন । সেই সময়েই হদিস মেলে এই সুড়ঙ্গের ।
কিছুদিন আগেই নিলামবাজার থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । অভিযোগে বলা হয়েছিল, অপহৃত ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা সীমান্তের ওপারে নিয়ে গিয়েছে । সেই সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্তের জন্য ওই এলাকায় এসেছিল পুলিশ । অপহৃত ব্য়ক্তির সন্ধান চলছিল । আর ঠিক সেই সময়েই চোখে পড়ে এই সুড়ঙ্গ ।
আরও পড়ুন : কাশ্মীর সীমান্তে সুড়ঙ্গের হদিস, এই পথেই ঢুকছিল জঙ্গিরা ?
তবে অপহৃত ওই ব্যক্তিকে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুলিশ সুপার । গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি । ময়ঙ্ক কুমার বলেন, " অপহৃত ব্যক্তিকে সুড়ঙ্গের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কি না, সে নিয়ে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় । তবে সীমান্ত এলাকায় এই ধরনের কিছু সমস্যা রয়েছে । বিষয়টি আমরা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গোচরে এনেছি ।"
বাংলাদেশের সঙ্গে প্রায় 264 কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে অসমের । এরমধ্যে করিমগঞ্জ জেলার সঙ্গেই রয়েছে 92 কিলোমিটারের সীমানা । এখনও পর্যন্ত এমন বেশ কিছু সীমান্ত এলাকা রয়েছে, যেখানে কোনও তারকাঁটার বেড়া নেই । পুলিশ সূত্রে খবর, এই এলাকাগুলিই বেশি পছন্দ দুষ্কৃতীদের । বাংলাদেশ থেকে অনেক দুষ্কৃতীই এইসমস্ত চোরাপথে ভারতে ঢুকে পড়ে ।