তিরুবনন্তপুরম, 23 ডিসেম্বর : সিস্টার অভয়া খুনে দুই দোষীসাব্যস্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশে দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত । কেরালার তিরুবনন্তপুরমের বিশেষ সিবিআই আদালত এই নির্দেশ দেয় । 1992 সালে 21 বছর বয়সি অভয়া খুনের ঘটনায় গতকালই ফাদার টমাস কোট্টর ও সিস্টার সেফিকে দোষীসাব্যস্ত করে আদালত । আজ এই দুজনের সাজা ঘোষণা করে আদালত ।
1992 সালে 21 বছর বয়সি অভয়াকে খুন করে তাঁর মৃতদেহ কেরালার কোট্টায়ামে একটি কনভেন্টের কুয়োতে ফেলে দেওয়া হয়েছিল । দোষীদের মধ্যে একজন ফাদার টমাস কোট্টোর । তিনি বিসিএম কলেজে অভয়াকে সাইকোলজি পড়াতেন । তিনি সেই সময় বিশপের সচিবও ছিলেন । পরে তিনি কোট্টায়ামের ক্যাথলিক ডিওসেসের আচার্য হয়ে যান । আর একজন দোষী সিস্টার সেফি । তিনি অভয়ার সঙ্গে একই হস্টেলে থাকতেন । ওই হস্টেলের তিনি কার্যনির্বাহী ইন-চার্জ ছিলেন । এই দু'জন খুন ও প্রমাণ লোপাটের জন্য দোষীসাব্যস্ত হয়েছেন । ফাদার টমাস একই সঙ্গে জোর করে বাড়িতে ঢোকার অভিযোগেও অভিযুক্ত ।
সিস্টার অভয়াকে সুবিচার পাইয়ে দিতে একটি প্যানেল তৈরি করা হয়েছিল । যে প্যানেলের একমাত্র জীবিত সদস্য জোমোন পুটেনপুরাকল এই রায়ের কথা শুনে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন । তাঁর কথায়, অর্থ ও ক্ষমতা থাকলেই যে বিচার ব্যবস্থাকে বিভ্রান্ত করা যায় না, এই মামলা তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ ।
কিন্তু কেন খুন হতে হয়েছিল সিস্টার অভয়াকে ? সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অভয়া কোট্টর অন্য এক ফাদার জোস পুত্রিক্যাইল এবং সেফিকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন । ঘটনাটি ঘটে 1992 সালের 27 মার্চ ভোর 4টে 15 মিনিট নাগাদ । এর 45 মিনিটের মধ্যেই সিস্টার অভয়াকে ভারী কিছু একটা দিয়ে আঘাত করেন সেফি । তারপর তাঁর মৃতদেহ কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয় । দুবছর আগে পুত্রিক্যাইলকে সিবিআই আদালত বেকসুর খালাস করে । তবে কোট্টর ও সেফির আবেদন খারিজ হয়ে যায় । যদিও শুরুতেই এই ঘটনাকে পুলিশ ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ আত্মহত্যা বলে তদন্তের পর জানিয়েছিলেন । কিন্তু এই নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় মামলা সিবিআইয়ের হাতে যায় । সেই তদন্তের জেরেই 28 বছর পর সুবিচার পেলেন সিস্টার অভয়া ।