উত্তরকাশী, 28 নভেম্বর: অবশেষে দোরগোড়ায় সেই মাহেন্দ্রক্ষণ ৷ টানা 16 দিনের অগ্নিপরীক্ষার পর সূর্যের আলো দেখতে চলেছেন উত্তরাখণ্ডের সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া 41 জন শ্রমিক ৷ যে কোনও মুহূর্তেই চলে আসবে সেই সুখবর ৷ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হতে চলেছেন শ্রমিকরা ৷ 60 মিটার প্রসারিত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ড্রিলিং সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের একজন শীর্ষ আধিকারিক ৷ উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, বদ্ধ সুড়ঙ্গের ভেতর পাইপ বিছানো সম্পন্ন হয়েছে ৷ কর্মীদের শীঘ্রই বের করা আনা হবে ৷
উদ্ধারকর্মীরা সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের 60 মিটার প্রসারিত ধ্বংসস্তূপ ভেঙে ইঁদুর মতো গর্ত খুঁড়েছেন ৷ মঙ্গলবার দুপুরে সেই খননের কাজ শেষ হয় ৷ সোশাল মিডিয়া এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি লিখেছেন, "বাবা বউখনাগের অপরিসীম আশীর্বাদে, দেশের কোটি কোটি নাগরিকের প্রার্থনা এবং অভিযানে জড়িত উদ্ধারকারী সংস্থাগুলির নিরলস পরিশ্রম, সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে পাইপ স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং আমাদের ভাইদের শীঘ্রই উদ্ধার করা হবে ৷"
সুড়ঙ্গের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে যে পাইপগুলি স্থাপন করা হয়েছে, তার প্রতিটি 800 মিমি চওড়া ৷ আটকে পড়া শ্রমিকেরা সেই পাইপের মধ্যে দিয়েই হামাগুড়ি দিয়ে সুড়ঙ্গের বাইরে বেরিয়ে আসবেন । শ্রমিকদের অপেক্ষায় সুড়ঙ্গের বাইরে অধীর আগ্রহে ভিড় করেছেন পরিবারের লোকেরা ৷
উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির বাসিন্দা চৌধুরীর 22 বছর বয়সি ছেলে মনোজিৎ সুড়ঙ্গে আটকে পড়েছেন ৷ ছেলেকে দেখার অধীর অপেক্ষা নিয়ে বাবা বললেন, "আধিকারিকরা আমাদের বলেছেন, শ্রমিকদের উদ্ধার হতে চলেছে । আমাদের জামাকাপড় ও জিনিসপত্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে ।"
উদ্ধারের পর তাঁকে তাঁর ছেলের সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে কি না এই প্রশ্ন করা হলে চৌধুরী বলেন, চিকিৎসকরা অ্যাম্বুলেন্সে যাবেন । তাঁর কথায়, "আমাদের বলা হয়েছে যে, তাঁদের উদ্ধারের পরে যেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে আমাদের জন্যও সেখানে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে ৷"
আরও পড়ুন: