ETV Bharat / bharat

Shraddha Murder Case: পরিচয় গোপন রাখতে কাটা মুণ্ড ফেলার আগে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব ! - আফতাব পুনাওয়ালা

পরিচয় গোপন রাখতে কাটা মুণ্ড ফেলার আগে শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Murder Case) মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব পুনাওয়ালা (Aftab Charred Shraddha face)৷ তিনি নিজেই জিজ্ঞাসাবাদে এ কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করেছে দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) একটি সূত্র ৷

Shraddha murder case: Charred her face to hide identity, claims Aftab Poonawalla
পরিচয় গোপন রাখতে কাটা মুণ্ড ফেলার আগে শ্রদ্ধার মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব !
author img

By

Published : Nov 17, 2022, 5:16 PM IST

নয়াদিল্লি, 17 নভেম্বর: পরিচয় লুকনোর জন্য লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Murder Case) মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আফতাব পুনাওয়ালা ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ কথা জানা গিয়েছে (Delhi Police)৷ এমনই বিস্ফোরক দাবি করল দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র (Aftab Charred Shraddha face)৷

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে যে, আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধার দেহকে 35 টুকরো করে কেটেছিলেন ৷ তারপর তাঁর মুখটি এমনভাবে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন যে, শরীরের অঙ্গগুলি খুঁজে পাওয়া গেলেও তা শনাক্ত করা যায়নি । সূত্রের দাবি, "জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব জানিয়েছেন যে, কীভাবে সবার নজর থেকে লাশকে লুকিয়ে রাখতে হয়, ইন্টারনেটে সেই সমস্ত কিছু শিখেছিলেন তিনি ৷"

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার তদন্তে জুনের শুরুতে উদ্ধার হওয়া একটি মানবদেহের মাথার সঙ্গে অন্যান্য দেহাংশগুলির ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য দিল্লির দক্ষিণ জেলা পুলিশ তাদের পূর্ব দিল্লির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ৷ সূত্রের মতে, পূর্ব দিল্লি পুলিশ এ বছরের জুনে রাজধানীর পাণ্ডব নগর থানা এলাকার ত্রিলোকপুরী থেকে একটি কাটা মাথা এবং হাত খুঁজে পেয়েছিল, যা শ্রদ্ধাকে খুনের প্রায় এক মাস পরের ঘটনা (18 মে)।

পূর্ব দিল্লির মামলার তদন্তে উদ্ধার হওয়া দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকৃত অবস্থার কারণে সেগুলি কার শরীরের অঙ্গ, তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি । পূর্ব দিল্লিতে পাওয়া দেহের অংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং শীঘ্রই ফরেনসিক রিপোর্ট আসবে । মেহরৌলি জঙ্গলে পাওয়া হাড়গুলিও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । পুলিশ এই উভয় স্থানে পাওয়া সমস্ত দেহের টুকরোকে ডিএনএ রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে এবং দেহের অংশগুলি শ্রদ্ধার ছিল কি না তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে সূত্র ৷ এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা পুলিশ পূর্ব জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে । পূর্ব জেলা পুলিশ সমস্ত তথ্য দক্ষিণ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ।

আরও পড়ুন: আমিনের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি সাকেত আদালতের

সূত্র জানিয়েছে, আফতাব তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে বলেছিলেন যে, শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তাঁর দেহ 35 টুকরো করার পরে, তিনি প্রথমে সেই অংশগুলি ফেলে দিয়েছিলেন যেগুলি দ্রুত দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে । সূত্র জানিয়েছে, "অভিযুক্ত আফতাব পুলিশকে বলেছে যে, সে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য ব্লিচ ব্যবহার করেছিল এবং রাসায়নিকও ব্যবহার করেছিল, যাতে রক্তের একটি দাগও মেঝেতে না থাকে ৷ সে শ্রদ্ধার শরীরের সমস্ত অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল এবং বাম হাতের বুড়ো আঙুল অন্য কোনও জায়গায় ফেলেছিল ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের মুখে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি । সূত্র বলেছে, "পুলিশ অফিসার অভিযুক্তের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বললে সে ইংরেজিতে জবাব দেয় । সারা রাত সে থানায় লকআপে শান্তিতে ঘুমায় । খুনের পর অভিযুক্ত আফতাবের বন্ধুরাও বাড়িতে আসে..কিন্তু সেই সময় সে অংশগুলি অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছিল ৷"

নয়াদিল্লি, 17 নভেম্বর: পরিচয় লুকনোর জন্য লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারের (Shraddha Murder Case) মুখ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন আফতাব পুনাওয়ালা ৷ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ কথা জানা গিয়েছে (Delhi Police)৷ এমনই বিস্ফোরক দাবি করল দিল্লি পুলিশের একটি সূত্র (Aftab Charred Shraddha face)৷

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় দিল্লি পুলিশের সূত্র জানিয়েছে যে, আফতাব প্রথমে শ্রদ্ধার দেহকে 35 টুকরো করে কেটেছিলেন ৷ তারপর তাঁর মুখটি এমনভাবে পুড়িয়ে দিয়েছিলেন যে, শরীরের অঙ্গগুলি খুঁজে পাওয়া গেলেও তা শনাক্ত করা যায়নি । সূত্রের দাবি, "জিজ্ঞাসাবাদের সময় আফতাব জানিয়েছেন যে, কীভাবে সবার নজর থেকে লাশকে লুকিয়ে রাখতে হয়, ইন্টারনেটে সেই সমস্ত কিছু শিখেছিলেন তিনি ৷"

শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলার তদন্তে জুনের শুরুতে উদ্ধার হওয়া একটি মানবদেহের মাথার সঙ্গে অন্যান্য দেহাংশগুলির ডিএনএ নমুনা মেলানোর জন্য দিল্লির দক্ষিণ জেলা পুলিশ তাদের পূর্ব দিল্লির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ৷ সূত্রের মতে, পূর্ব দিল্লি পুলিশ এ বছরের জুনে রাজধানীর পাণ্ডব নগর থানা এলাকার ত্রিলোকপুরী থেকে একটি কাটা মাথা এবং হাত খুঁজে পেয়েছিল, যা শ্রদ্ধাকে খুনের প্রায় এক মাস পরের ঘটনা (18 মে)।

পূর্ব দিল্লির মামলার তদন্তে উদ্ধার হওয়া দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বিকৃত অবস্থার কারণে সেগুলি কার শরীরের অঙ্গ, তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি । পূর্ব দিল্লিতে পাওয়া দেহের অংশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল এবং শীঘ্রই ফরেনসিক রিপোর্ট আসবে । মেহরৌলি জঙ্গলে পাওয়া হাড়গুলিও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে । পুলিশ এই উভয় স্থানে পাওয়া সমস্ত দেহের টুকরোকে ডিএনএ রিপোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে এবং দেহের অংশগুলি শ্রদ্ধার ছিল কি না তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে সূত্র ৷ এ ব্যাপারে দক্ষিণ জেলা পুলিশ পূর্ব জেলা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে । পূর্ব জেলা পুলিশ সমস্ত তথ্য দক্ষিণ জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ।

আরও পড়ুন: আমিনের নার্কো পরীক্ষার অনুমতি সাকেত আদালতের

সূত্র জানিয়েছে, আফতাব তাঁর জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকে বলেছিলেন যে, শ্রদ্ধাকে হত্যা করে তাঁর দেহ 35 টুকরো করার পরে, তিনি প্রথমে সেই অংশগুলি ফেলে দিয়েছিলেন যেগুলি দ্রুত দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে । সূত্র জানিয়েছে, "অভিযুক্ত আফতাব পুলিশকে বলেছে যে, সে প্রমাণ নষ্ট করার জন্য ব্লিচ ব্যবহার করেছিল এবং রাসায়নিকও ব্যবহার করেছিল, যাতে রক্তের একটি দাগও মেঝেতে না থাকে ৷ সে শ্রদ্ধার শরীরের সমস্ত অংশ জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল এবং বাম হাতের বুড়ো আঙুল অন্য কোনও জায়গায় ফেলেছিল ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদে আফতাবের মুখে কোনও অনুশোচনা দেখা যায়নি । সূত্র বলেছে, "পুলিশ অফিসার অভিযুক্তের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বললে সে ইংরেজিতে জবাব দেয় । সারা রাত সে থানায় লকআপে শান্তিতে ঘুমায় । খুনের পর অভিযুক্ত আফতাবের বন্ধুরাও বাড়িতে আসে..কিন্তু সেই সময় সে অংশগুলি অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছিল ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.