সাংলি, 21 জুন : মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার শেন্ডগেওয়ারি গ্রাম ৷ গ্রামের সংকীর্ণ পাথুরে রাস্তাগুলোই বলে দেয় প্রগতির আলো এখনও সেভাবে পৌঁছয়নি গ্রামে ৷ গাঁ-এর অধিকাংশ মানুষই মেষ নতুবা খচ্চর প্রতিপালক ৷ বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষায় 91.80 শতাংশ নম্বর পেয়ে এখন সেই শেন্ডগেওয়ারি গ্রামের নতুন তারা হেমন্ত মুধে ৷ মেষ চড়িয়ে খুদে হেমন্তের এই সাফল্যে এখন চর্চার শিরোনামে মহারাষ্ট্রের এই গ্রাম (Shepherd's son has scored 91 percent marks in class X exam) ৷
দশম শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারীর তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে হেমন্তের প্রাপ্ত নম্বর ৷ কিন্তু যে সকল প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে হেমন্ত আজ সাফল্যের চূড়ায়, তাকে অগ্রাহ্য করে কার সাধ্যি ! শেন্ডগেওয়ারির 5 কিমি পাথুরে রাস্তা রোজ পায়ে হেঁটে পেরিয়েই পাশের গাঁয়ের একটি স্কুলে পড়তে যেত হেমন্ত ৷ আবার একই পথ ধরে ফিরত পায়ে হেঁটেই ৷ কখনও সখনও বড়জোর একটা ভাঙা বাই-সাইকেল সঙ্গী হত তার ৷ পরিবারের অবস্থাও তথৈবচ ৷ গ্রামের অধিকাংশের মতোই ছাগল-ভেড়া চড়িয়েই দিন গুজরান করেন বাবা বীরা এবং মা সুনন্দা ৷
রাখাল পরিবারের ছেলে হয়ে সব দেখে কী করে চুপ থাকে হেমন্ত ? দাদা অঙ্কুশের সঙ্গে তাই মেষ-খচ্চর চড়ানোতেই সুখ পেত হেমন্ত ৷ পাশাপাশি সমানতালে চলত পড়াশুনা ৷ সবচেয়ে বড় কথা, জেদি হেমন্ত প্রতিকূলতাগুলোকে কখনও সাফল্যের ঢাল হয়ে উঠতে দেয়নি ৷ জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় 91 শতাংশেরও বেশি নম্বর তারই ফলশ্রুতি ৷ এই খবর চাউর হতেই রাখাল-বালকের সাফল্যে আর শুধু তাঁর সাফল্য নেই, হেমন্তের ছটায় যেন পুরো শেন্ডগেওয়ারি আজ আলোয় ৷
আরও পড়ুন : মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের বিধবাদের বিয়ের স্বীকৃতি দিল সরকার
সমগ্র সাংগলিজুড়েই চলছে হেমন্ত স্তুতি ৷ স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক গোপীচাঁদ পাদলকার, রাজ্যের প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী সুদাভাউ খোট সোশাল মিডিয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন কৃতী রাখাল-বালককে ৷ প্রশংসা আসছে অন্য সব মহল থেকেও ৷