পটনা, 20 মার্চ: বিহারে সন্দেহজনকভাবে 19 জনের মৃত্যু হল ৷ বিষমদ (Bihar Hooch consumption death) খেয়েই ভাগলপুর, বাঁকা ও মধ্যপুরায় এতজন মারা গিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে (several dies in Bihar due to Hooch consumption)৷
বিহারে মদ নিষিদ্ধ (Liquor Ban In Bihar) ৷ নিয়ম রক্ষায় তৎপর পুলিশ ৷ তবে এত কিছু সত্ত্বেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অ্যালকোহল মাফিয়ারা ৷ আবারও বিষাক্ত মদের (poisonous liquor) বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে বলে সন্দেহ পুলিশের ৷ ভাগলপুরে সন্দেহজনক ভাবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে । ইউনিভার্সিটি থানা এলাকায় মৃত চারজন বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের ৷ পুলিশ দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ রিপোর্ট হাতে এলে তবেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ ৷
ভবনীপুর ওপি থানা এলাকাতেও সন্দেহজনক ভাবে চারজনের মৃত্যু হয় ৷ এ ক্ষেত্রেও মৃত্যুর কারণ বিষমদ বলে মনে করা হচ্ছে ৷
এ ছাড়াও বিহারের বাঁকেতে একইরকম ভাবে আচমকা আটজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ স্থানীয়রা বিষমদের অভিযোগ করলেও জেলা প্রশাসন এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত নয় ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: Nalanda Hooch Consumption Death : নালন্দায় বিষমদ পান করে অন্তত 10 জনের মৃত্যু
মধ্যপুরাতেও বিষমদ খেয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে ৷ স্থানীয়দের দাবি, মুরলীগঞ্জ থানা এলাকায় আচমকা যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, তার কারণ বিষমদ ৷ বিষমদের ডেরার খোঁজে গোটা এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷
ফের বিষমদকাণ্ড মাথা চাড়া দেওয়ায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিহারবাসীর মধ্যে ৷ অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে ৷
2016 সালেই রাজ্যে মদকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিহার সরকার ৷ এই আইনে অ্যালকোহল বিক্রি, পান করা ও তৈরি করা সবই বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয় ৷ এই অপরাধের জন্য সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও যাবজ্জীবন সাজাও ঘোষণা করা হয় ৷ তবে 2018 সালের সংশোধনীতে এই আইনে দোষী সাব্যস্তদের সাজার ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয় ৷ বিহারে এই আইন জারি হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আইন ভাঙার অভিযোগে তিন লাখেরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: বিহারে বিষমদ পানে মৃত 3