সুরাত, 30 নভেম্বর: কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মৃত্যু হল 6 জনের ৷ 29 নভেম্বর গুজরাতের সুরাতে শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত এই কারখানাটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে ৷ সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, রাত আনুমানিক 2টো নাগাদ বিস্ফোরণ হয় ৷ সেই থেকেই আগুন লেগেছিল ৷ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভোরে 7 জনের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৷ মৃতদের মধ্যে একজন কোম্পানির স্থায়ী কর্মী ৷ বাকিরা চুক্তিতে কাজ করছিলেন ৷ এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷
সুরাতের কালেক্টর আয়ুশ ওয়াক বলেন, "ফ্যাক্টরি চত্বরে তল্লাশি চলছিল ৷ তখনই আধিকারিকরা 7 জনের মৃতদেহ খুঁজে পান ৷ বুধবার কারখানায় আগুন লাগার পর তাঁদের আর পাওয়া যাচ্ছিল না ৷" তিনি আরও জানান, কারখানায় আগুন লাগার ঘটনায় 24 জন আহত হয়েছিলেন ৷ তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷
29 নভেম্বর, ঘটনার দিনই কোম্পানির তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই আগুন লাগার ঘটনা জানানো হয়েছে ৷ কোম্পানিটি জানিয়েছে, "আমরা এতদ্বারা জানিয়েছি, কোম্পানির ম্যানুফ্যাকচারিং সাইটে প্লট নম্বর 8203, জিআইডিসি সচিন, সুরাতে আজ ভোররাত 1.50 মিনিটে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে ৷"
বুধবার সুরাতের দমকলবাহিনীর আধিকারিক জানান, সচিন জিআইডিসি শিল্পাঞ্চল এলাকায় একটি দাহ্য তরল ভর্তি ট্যাঙ্কে লিকেজ দেখা দেয় ৷ তাতে বিস্ফোরণ হয়ে রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে ৷ প্রায় 15টি দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷
এই আগুন লাগার সময় রাসায়নিক কারখানাটিতে অনেক শ্রমিক কাজ করছিলেন ৷ 27 জন শ্রমিক পুড়ে গিয়েছেন ৷ তাঁদের মধ্যে 8 জনেরও বেশি শ্রমিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ তাঁদের দেহের 70-100 শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গিয়েছে ৷ তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৷ তবে 7 জন শ্রমিকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না ৷ তাঁদের দেহগুলিই উদ্ধার হয়েছে ৷ আপাতত নিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে ওই কোম্পানিকে ক্লোজার নোটিশ পাঠানো হয়েছে ৷ তাই কারখানাটি বন্ধ ৷
আরও পড়ুন: