ETV Bharat / bharat

School Reopen : স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু ; কেউ আনন্দিত, কোথাও সংশয়

কলেজ পড়ুয়াদের অধিকাংশ ইতিমধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন । কিন্তু স্কুল পড়ুয়াদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি । ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো স্কুলগুলি খুললেও পড়ুয়ারা ক্লাসে যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় । তবে মালদার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ।

author img

By

Published : Oct 27, 2021, 8:01 PM IST

School Re-Open
প্রায় দু'বছর পর রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ

মালদা, 27 অক্টোবর : করোনার থাবায় প্রায় দু'বছর পর রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ । গতকাল মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি স্কুল-কলেজকে 15 নভেম্বরের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে । সম্ভবত তিনি 15 তারিখ থেকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু করার কথা ভেবেছিলেন । কিন্তু সেদিন বীরসা মুণ্ডার জন্মদিন থাকায় রাজ্যে সরকারি ছুটি । তাই 16 নভেম্বর থেকেই ফের চালু হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলি । নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে । কলেজ পড়ুয়াদের অধিকাংশ ইতিমধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন । কিন্তু স্কুল পড়ুয়াদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি । ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো স্কুলগুলি খুললেও পড়ুয়ারা ক্লাসে যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় । তবে মালদার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ।

মালদা জেলার অন্যতম পুরোনো অক্রুরমণি করোনেশন ইন্সটিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার বসাক বললেন, “আমরা এই ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম । দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল । গত ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকদিন ক্লাস খোলা থাকলেও ফের তা বন্ধ হয়ে যায় । এতে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলও চিন্তায় পড়ে যায় । তবে আমরা মানসিকভাবে স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম । জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে । আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম । আমরা স্কুল খোলার জন্য তৈরি । মিড-ডে মিলের সময়ও আমরা গোটা স্কুল স্যানিটাইজ করি । তাছাড়া আমাদের স্কুলে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা হয় । তখন সাংঘাতিকভাবে স্যানিটাইজেশন পদ্ধতি মেনে চলা হয় । আমরা দু’একদিনের মধ্যে ফের গোটা স্কুল স্যানিটাইজ করব । পড়ুয়াদের জন্যও স্যানিটাইজেশনের সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । আগেও তা করা হয়েছিল । শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার নয়, প্রয়োজনে সাবানের ব্যবস্থাও থাকবে । তবে এখনও স্কুলের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি । এটাই একটা ভাবার বিষয় । তবে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকদের বেশিরভাগেরই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে । স্কুল পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের বিষয় । স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চয়ই এনিয়ে ভাববে । তবে পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে আগ্রহী । অভিভাবকরাও সেটাই চান।”

আরও পড়ুন : Amarinder Singh : গড়ছেন নতুন দল, বিজেপির সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত ক্য়াপ্টেনের

পুরাতন মালদার কালাচাঁদ হাইস্কুলে গ্রামীণ পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক । পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন না হওয়ায় সেখানে কিছুটা সমস্যা কি হবে না? স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুলরঞ্জন দাসের বক্তব্য, “আমরা স্কুল খোলার জন্য তৈরি । আমরা আগেই আশা করেছিলাম, পুজোর পর স্কুল খুলবে । তবে দুশ্চিন্তার বিষয়, পুজোর সময় যেভাবে মানুষ ভিড়ে শামিল হয়েছে, তাতে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে । উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যও হয়েছে । তাই বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্কুল খোলা উচিত । কারণ, ১৮ বছরের নীচে থাকা কেউ ভ্যাকসিন পায়নি । তাছাড়া বাচ্চারা এতদিন বাড়িতে বন্দি ছিল । তারা বেশি সময় মাস্ক পরতেও অভ্যস্ত নয় । এর মধ্যে কোভিডের নতুন স্ট্রেইন দেখা যাচ্ছে । তাই আমার আবেদন, সরকারিভাবে স্কুলগুলিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হোক । আর গ্রামীণ এলাকার মানুষজনের অনেকের মধ্যেই করোনা সতর্কতা কম । তবে আমরা স্কুল খুলতে পুরোপুরি তৈরি।”

আরও পড়ুন: Uttarakhand Disaster : উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ থেকে আরও 5 বাঙালি অভিযাত্রীর দেহ উদ্ধার, নিখোঁজ গাইড

বার্লো গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার বলছেন, “অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম, পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে । তাই ঘোষণার সাত থেকে দশদিনের মধ্যে স্কুল খোলার মতো প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছিলাম । ইতিমধ্যে ক্লাসরুম, বাথরুম, জলের ট্যাংক পরিষ্কার করা হয়েছে । আরও একবার সেসব পরিষ্কার করা হবে । মেয়েদের জন্যও আলাদা করে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে । আর ক্লাস করা নিয়ে সরকারের কোনও নির্দেশ আসলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকায় মেয়েরা সবাই স্কুলে আসবে কিনা তা নিয়ে আমরাও চিন্তিত । তবে সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক পড়ুয়ার আধার কার্ডের নম্বর চেয়ে পাঠানো হয়েছে । আমাদের ধারণা, পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যই তা চাওয়া হয়েছে । আর যেহেতু পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে না, তাই বাকি চারটি ক্লাসের পড়ুয়াদের আমরা অনেকটা ফাঁকা করে বসাতে পারব । সেভাবেই ক্লাস করতে হবে ।”

প্রায় দু'বছর পর রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ

অভিভাবকরা কী ভাবছেন? এক অভিভাবক মহম্মদ আতিউর রহমানের বক্তব্য, “আমি চাই স্কুল খুলুক । তবে মনে একটা ভয় সবসময় কাজ করছে । যদি সমস্ত কোভিড বিধি মেনে স্কুলে ক্লাস হয়, তবে আমি মেয়েকে স্কুলে পাঠাব । তবে দেখতে হবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সব পড়ুয়া যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলছে কিনা । আমরা তো সবসময় এটা দেখতে পাব না । ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে । তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো আর দিনের পর দিন বন্ধ থাকতে পারে না । এতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছে ।” উমাশংকর বড়ুয়ার মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে । তিনি মেয়েকে স্কুল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন । তাঁর কথায়, “আশা করছি বাচ্চারা ক্লাসে এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সমস্ত ব্যবস্থা নেবে । ইতিমধ্যে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে । খাবারের দোকান, রেঁস্তোরা, সিনেমাহল খুলেছে । পুজোতে বাচ্চারা মা-বাবার সঙ্গে বাজার করতে দোকান কিংবা মলে গিয়েছে । তাহলে শুধু স্কুল বন্ধ থাকবে কেন? স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে । আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে । স্কুল না খোলায় বাচ্চারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তারা স্কুলে আসলে একদিকে যেমন বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারবে, তেমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও তারা শুনতে পারবে ।”

মালদা, 27 অক্টোবর : করোনার থাবায় প্রায় দু'বছর পর রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ । গতকাল মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিটি স্কুল-কলেজকে 15 নভেম্বরের আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে । সম্ভবত তিনি 15 তারিখ থেকে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি চালু করার কথা ভেবেছিলেন । কিন্তু সেদিন বীরসা মুণ্ডার জন্মদিন থাকায় রাজ্যে সরকারি ছুটি । তাই 16 নভেম্বর থেকেই ফের চালু হচ্ছে স্কুল-কলেজগুলি । নবান্ন সূত্রে তেমনটাই জানা গিয়েছে । কলেজ পড়ুয়াদের অধিকাংশ ইতিমধ্যেই করোনার টিকা পেয়ে গিয়েছেন । কিন্তু স্কুল পড়ুয়াদের এখনও ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়নি । ফলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো স্কুলগুলি খুললেও পড়ুয়ারা ক্লাসে যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায় । তবে মালদার বিভিন্ন স্কুল কর্তৃপক্ষ স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ।

মালদা জেলার অন্যতম পুরোনো অক্রুরমণি করোনেশন ইন্সটিটিউশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আশিসকুমার বসাক বললেন, “আমরা এই ঘোষণার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম । দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ব্যবস্থা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল । গত ফেব্রুয়ারিতে বিক্ষিপ্তভাবে কয়েকদিন ক্লাস খোলা থাকলেও ফের তা বন্ধ হয়ে যায় । এতে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক মহলও চিন্তায় পড়ে যায় । তবে আমরা মানসিকভাবে স্কুল খোলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম । জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে । আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম । আমরা স্কুল খোলার জন্য তৈরি । মিড-ডে মিলের সময়ও আমরা গোটা স্কুল স্যানিটাইজ করি । তাছাড়া আমাদের স্কুলে বিভিন্ন সরকারি পরীক্ষা হয় । তখন সাংঘাতিকভাবে স্যানিটাইজেশন পদ্ধতি মেনে চলা হয় । আমরা দু’একদিনের মধ্যে ফের গোটা স্কুল স্যানিটাইজ করব । পড়ুয়াদের জন্যও স্যানিটাইজেশনের সবরকম ব্যবস্থা করা হবে । আগেও তা করা হয়েছিল । শুধু হ্যান্ড স্যানিটাইজার নয়, প্রয়োজনে সাবানের ব্যবস্থাও থাকবে । তবে এখনও স্কুলের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি । এটাই একটা ভাবার বিষয় । তবে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী, অভিভাবকদের বেশিরভাগেরই ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গিয়েছে । স্কুল পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি সরকারের বিষয় । স্বাস্থ্য দফতর নিশ্চয়ই এনিয়ে ভাববে । তবে পড়ুয়ারা স্কুলে আসতে আগ্রহী । অভিভাবকরাও সেটাই চান।”

আরও পড়ুন : Amarinder Singh : গড়ছেন নতুন দল, বিজেপির সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত ক্য়াপ্টেনের

পুরাতন মালদার কালাচাঁদ হাইস্কুলে গ্রামীণ পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক । পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন না হওয়ায় সেখানে কিছুটা সমস্যা কি হবে না? স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহুলরঞ্জন দাসের বক্তব্য, “আমরা স্কুল খোলার জন্য তৈরি । আমরা আগেই আশা করেছিলাম, পুজোর পর স্কুল খুলবে । তবে দুশ্চিন্তার বিষয়, পুজোর সময় যেভাবে মানুষ ভিড়ে শামিল হয়েছে, তাতে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে । উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যও হয়েছে । তাই বিজ্ঞানসম্মতভাবেই স্কুল খোলা উচিত । কারণ, ১৮ বছরের নীচে থাকা কেউ ভ্যাকসিন পায়নি । তাছাড়া বাচ্চারা এতদিন বাড়িতে বন্দি ছিল । তারা বেশি সময় মাস্ক পরতেও অভ্যস্ত নয় । এর মধ্যে কোভিডের নতুন স্ট্রেইন দেখা যাচ্ছে । তাই আমার আবেদন, সরকারিভাবে স্কুলগুলিতে মাস্ক ও স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হোক । আর গ্রামীণ এলাকার মানুষজনের অনেকের মধ্যেই করোনা সতর্কতা কম । তবে আমরা স্কুল খুলতে পুরোপুরি তৈরি।”

আরও পড়ুন: Uttarakhand Disaster : উত্তরাখণ্ডে হিমবাহ থেকে আরও 5 বাঙালি অভিযাত্রীর দেহ উদ্ধার, নিখোঁজ গাইড

বার্লো গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদার বলছেন, “অনেকদিন ধরেই শুনছিলাম, পুজোর পর স্কুল খুলতে পারে । তাই ঘোষণার সাত থেকে দশদিনের মধ্যে স্কুল খোলার মতো প্রস্তুতি আমরা নিয়ে রেখেছিলাম । ইতিমধ্যে ক্লাসরুম, বাথরুম, জলের ট্যাংক পরিষ্কার করা হয়েছে । আরও একবার সেসব পরিষ্কার করা হবে । মেয়েদের জন্যও আলাদা করে স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হবে । আর ক্লাস করা নিয়ে সরকারের কোনও নির্দেশ আসলে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে । তবে ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকায় মেয়েরা সবাই স্কুলে আসবে কিনা তা নিয়ে আমরাও চিন্তিত । তবে সম্প্রতি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক পড়ুয়ার আধার কার্ডের নম্বর চেয়ে পাঠানো হয়েছে । আমাদের ধারণা, পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্যই তা চাওয়া হয়েছে । আর যেহেতু পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হবে না, তাই বাকি চারটি ক্লাসের পড়ুয়াদের আমরা অনেকটা ফাঁকা করে বসাতে পারব । সেভাবেই ক্লাস করতে হবে ।”

প্রায় দু'বছর পর রাজ্যে ফের খুলতে চলেছে স্কুল-কলেজ

অভিভাবকরা কী ভাবছেন? এক অভিভাবক মহম্মদ আতিউর রহমানের বক্তব্য, “আমি চাই স্কুল খুলুক । তবে মনে একটা ভয় সবসময় কাজ করছে । যদি সমস্ত কোভিড বিধি মেনে স্কুলে ক্লাস হয়, তবে আমি মেয়েকে স্কুলে পাঠাব । তবে দেখতে হবে, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সব পড়ুয়া যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলছে কিনা । আমরা তো সবসময় এটা দেখতে পাব না । ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষকেই এর দায়িত্ব নিতে হবে । তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তো আর দিনের পর দিন বন্ধ থাকতে পারে না । এতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম দিনের পর দিন পিছিয়ে পড়ছে ।” উমাশংকর বড়ুয়ার মেয়ে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে । তিনি মেয়েকে স্কুল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন । তাঁর কথায়, “আশা করছি বাচ্চারা ক্লাসে এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ কোভিড নিয়ন্ত্রণে সমস্ত ব্যবস্থা নেবে । ইতিমধ্যে গণ পরিবহণ ব্যবস্থা চালু হয়েছে । খাবারের দোকান, রেঁস্তোরা, সিনেমাহল খুলেছে । পুজোতে বাচ্চারা মা-বাবার সঙ্গে বাজার করতে দোকান কিংবা মলে গিয়েছে । তাহলে শুধু স্কুল বন্ধ থাকবে কেন? স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে । আশা করছি, কিছুদিনের মধ্যেই বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে । স্কুল না খোলায় বাচ্চারা মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে । তারা স্কুলে আসলে একদিকে যেমন বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারবে, তেমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথাও তারা শুনতে পারবে ।”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.