বিশাখাপত্তনম: ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন স্কুলের অশিক্ষক কর্মচারী ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ৷ বছর 14-র ওই নাবালিকাকে বেশ কয়েকবার অভিযুক্ত সত্য রাও ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ৷ প্রতিবারই মেয়েটির সঙ্গে কাটানো অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রাখতেন অভিযুক্ত ৷ সেই ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়েই পরে ব্ল্যাকমেল করা হত বলে অভিযোগ ৷ পুলিশ এই ঘটনায় ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে ৷ সত্য রাওয়ের কয়েকজন বন্ধুকেও পুলিশ আটক করেছে ৷ তাঁরাও এই ঘটনায় জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ ৷ মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷
স্কুল থেকে বাড়িতে অভিযোগ: ওই কিশোরীর স্কুলের প্রিন্সিপাল তার বাড়িতে জানায় যে সে পড়াশোনায় অন্যদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে ৷ তার কোনও মানসিক সমস্যা হচ্ছে হয়তো ৷ সারাক্ষণই সে মনমরা হয়ে থাকে ৷ বাড়িতে মেয়েটির কাছে জানতে চাওয়া হয় যে কোথায় তার সমস্যা হচ্ছে ৷ প্রথমে সে কিছু না জানালেও পরে মায়ের কাছে নির্যাতনের সব কথা জানায় ৷
আরও পড়ুন: একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী সতেরোর কিশোরী! গ্রেফতার অভিযুক্ত বাবা ও প্রতিবেশী
ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত অশিক্ষক কর্মচারী: মেয়েটি তার পরিবারকে জানায়, স্কুলের অশিক্ষক কর্মচারী তাকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করছে ৷ অভিযুক্তের নাম সত্য রাও ৷ অভিযুক্ত বিশাখাপত্তনমে তারা যে আবাসনে থাকে, সেখানেই থাকেন ৷ সেই সুযোগেই প্রথমে সে মেয়েটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ৷ তার পর শুরু হয় অত্যাচার ৷ প্রতিবারই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিয়ো তুলে রাখা হত ৷ পরেরবার ওই ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আবার ধর্ষণ করা হত ৷ এমনকী, বিষয়টি কাউকে জানালেও ছবি-ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখাতেন সত্য রাও ৷ সেই কারণেই মেয়েটি কাউকে কিছু জানায়নি বলে পরিবারের কাছে দাবি করেছে ৷
পুলিশে অভিযোগ দায়ের: মেয়েটির বাবা নেভি-তে কর্মরত ৷ তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে বিশাখাপত্তনমের ওই আবাসনে থাকতেন ৷ মেয়েটির কথা শোনার পর স্থানীয় বিমানবন্দর থানায় পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ পরে দিশা পুলিশ তদন্ত করা হয় ৷ গণধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয় ৷ গ্রেফতার করা হয় সত্য রাও ৷ আটক করা হয়েছে তাঁর কয়েকজন বন্ধুকেও ৷ মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: নগ্ন ছবি তুলে লাগাতার ধর্ষণ! যুবকের 20 বছরের কারাদণ্ডের