নয়াদিল্লি, 22 ফেব্রুয়ারি: শিবসেনার (Shiv Sena) নাম ও প্রতীক ব্যবহার সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের (ECI) সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) ৷ গত শুক্রবার নির্বাচন কমিশন শিবসেনার কর্তৃত্ব একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) গোষ্ঠীকে দিয়ে দেয় ৷ তার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) ৷ বুধবার সেই মামলার শুনানিতেই কমিশনের সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আদালত জানিয়েছে, এই পর্যায়ে তারা কোনও স্থগিতাদেশ দিতে পারে না ৷
এদিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে উদ্ধব গোষ্ঠীকে জানানো হয়েছে, কমিশনের সিদ্ধান্ত ছাড়া যদি এই নিয়ে আর কোনও বিষয় থাকে, তাহলে তারা সেই বিষয়টির আইনি দিকগুলি খতিয়ে দেখতে পারে ৷ দু’সপ্তাহ পর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে ৷ তার আগে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পক্ষকে এই নিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছে আদালত ৷
1966 সালে বালাসাহেব ঠাকরে (Bal Thackeray) তৈরি করেছিলেন শিবসেনা ৷ বালাসাহেবের পর দলের ব্যাটন চলে আসে তাঁর পুত্র উদ্ধব ঠাকরের হাতে ৷ সেই কারণেই শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি-র মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারে (MVA Government) মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন উদ্ধব ৷ কিন্তু 2022 সালের মাঝামাঝি একনাথ শিন্ডে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন ৷ যার জেরে কুর্সি হারাতে হয় উদ্ধবকে ৷ বিদ্রোহী শিব-সৈনিকদের নিয়ে বিজেপির সহায়তায় মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ ৷ তার পর তিনি দলের কর্তৃত্ব পেতে দ্বারস্থ হন নির্বাচন কমিশনের ৷
গত শুক্রবার একনাথের পক্ষেই রায় দেয় নির্বাচন কমিশন ৷ এর জেরে ব্যাপক ক্ষুব্ধ উদ্ধব শিবির ৷ উদ্ধব নিজে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে শিবসেনার অধিকার ফিরিয়ে আনার দাবি করেছিলেন ৷ কিন্তু আপাতত তাঁর সেই দাবিপূরণ হল না ৷ যদিও এদিন আদালতে উদ্ধব পক্ষের আইনজীবী কপিল সিবল স্থগিতাদেশের জন্য একাধিক যুক্ত তুলে ধরেছিলেন ৷ শিন্ডে-সৈনিকরা শিবসেনার পার্টি অফিসগুলি দখল করে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন ৷ তার পরও আদালত স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে ৷