নয়াদিল্লি, 17 ফেব্রুয়ারি: আদানি-হিন্ডেনবার্গ কাণ্ডের (Adani Hindenburg Controversy) জেরে রুজু হওয়া জনস্বার্থ মামলায় কেন্দ্রের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট (SC Refuses to entertain Centre Suggestion) ৷ এর আগে সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি চলাকালীন শীর্ষ আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, এই ধরনের ঘটনায় যাতে আমজনতার টাকা কোনওভাবেই নষ্ট না তা নিশ্চিত করতে হবে ৷ প্রয়োজনে শেয়ার বাজারের উপর নজরদারি চালানো ব্যবস্থাপনাকে আরও পোক্ত করতে হবে ৷ এই বিষয়ে কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটি (Experts Panel on Market Regulatory Mechanism) গঠন করা যায় কি না, সেই বিষয়টিকেও কেন্দ্রকে বিবেচনা করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট ৷ জবাবে কেন্দ্র জানিয়েছিল, বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে তাদের কোনও আপত্তি নেই ৷ তবে, এই বিষয়ে কয়েকজনের নাম প্রস্তাব করতে চায় তারা ৷ সেই প্রস্তাব মুখবন্ধ খামে আদালতে পেশ করতে দেওয়া হোক ৷ শুক্রবার মুখবন্ধ খামে প্রস্তাব পেশের সেই আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
এই বিষয়ে আগেই সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখার বার্তা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ আর সেই কারণেই মুখবন্ধ খামে কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ এদিন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরোশিমা এবং বিচারপতি জেবি পরদিওয়ালার বেঞ্চ এই বিষয়ে আদালতের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ৷ বেঞ্চের তরফ থেকে বলা হয়, "আমারা আপনাদের কাছ থেকে কোনও মুখবন্ধ খাম গ্রহণ করতে পারব না ৷ কারণ, আমরা এই কাজে পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চাই ৷"
আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনে আপত্তি নেই, আদানি কাণ্ডে জানাল কেন্দ্র
উল্লেখ্য, গত 10 ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে বলেছিল, যেকোনও পরিস্থিতিতেই ভারতের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হতে দেওয়া যাবে না ৷ প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে ইতিমধ্যেই একাধিক জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্ট গ্রহণ করেছে ৷ এই মামলাগুলি রুজু করেছেন আইনজীবী এমএল শর্মা, আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি, কংগ্রেস নেতা জয়া ঠাকুর এবং সমাজকর্মী মুকেশ কুমার ৷
গত মাসে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ ৷ তাতে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ আনা হয় ৷ ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়, নিজেদের আর্থিক অবস্থা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে পেশ করেছে আদানি গোষ্ঠী ৷ এর পাশাপাশি, শেয়ার দরে কারচুপি, ভুয়ো ও বেআইনি সংস্থা তৈরি করে বিনিয়োগ, একাধিক সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন-সহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়েছে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ৷ তারপর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারদরে রেকর্ড পতন শুরু হয় ৷ বিপাকে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৷ আদানি গোষ্ঠী অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ৷