নয়াদিল্লি, 13 ফেব্রুয়ারি: জম্মু ও কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনী এলাকা পুনর্গঠনের জন্য ডিলিমিটেশন কমিশন তৈরি করেছিল কেন্দ্র ৷ সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন শ্রীনগরের দুই বাসিন্দা আব্দুল গনি খান এবং ড. মহম্মদ আয়ুব মাট্টো ৷ তাঁদের সেই আবেদন এদিন খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত (SC Dismisses Plea Against Delimitation in Jammu and Kashmir) ৷ তাঁরা কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের 107 টি বিধানসভা আসনকে বাড়িয়ে 114 করার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ৷
বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌল এবং বিচারপতি এএস ওকার বেঞ্চ কাশ্মীরের দুই বাসিন্দার দায়ের করা আবেদনের উপর এই রায় দিয়েছে ৷ রায় ঘোষণায় আদালত মন্তব্য করে, ‘‘সীমানা নির্ধারণের সিদ্ধান্তের বিষয়টি কোনও পৃথক গোষ্ঠীকে প্রভাবিত করবে না ৷’’ যেখানে 370 ধারা বাতিলের মামলা সুপ্রিম কোর্টের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ৷
রায় ঘোষণার সময়, বিচারপতি ওকা জানান, এই রায়ে কিছুই বলা সম্ভব নয় ৷ ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, 370 ধারা সম্পর্কিত ক্ষমতা প্রয়োগের বৈধতার বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে ৷ কেন্দ্র 5 অগস্ট 2019 সালে 370 ধারার বাতিল করে আইন পাশ করে ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্তের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে পিটিশনগুলি হয়েছিল তা, খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় কী করা উচিত, কেন্দ্র ও সেবির উত্তর চাইল সুপ্রিম কোর্ট
আজকের এই রায়ের বিস্তারিত তথ্য দিনের শেষে সুপ্রিম কোর্টের পোর্টালে তুলে দেওয়া হবে ৷ কেন্দ্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের 107 টি বিধানসভা আসন রয়েছে বর্তমানে ৷ ডিলিমিটেশন কমিশন গঠন করে তা বাড়িয়ে 114 করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ৷ তাঁরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনে দাবি করেন, আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ভারতীয় সংবিধানের 81, 82, 170, 330 এবং 332 ধারাকে লঙ্ঘন করে ৷ এমনকি জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইন 2019 সালের বিরুদ্ধ ৷ তবে, তাঁদের সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷