নয়াদিল্লি, 11 জুলাই: কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের 370 ধারা প্রত্যাহার করেছিল ৷ তার ফলে বিশেষ মর্যাদার তকমা হারায় জম্মু ও কাশ্মীর ৷ কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে ৷ মঙ্গলবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই মামলাগুলির শুনানি শোনেন ৷
বেঞ্চ জানায় আগামী 2 অগস্ট থেকে সোমবার ও শুক্রবার বাদে নিয়মিত এই আবেদনগুলির শুনানি হবে ৷ এদিন সর্বোচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, 27 জুলাইয়ে মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি এই মামলার বিষয়ে তাদের মতামত লিখিত জমা দিতে পারে ৷
উল্লেখ্য, 2019 সালের 5 অগস্ট বিজেপির নেতৃত্বে গঠিত এনডিএ সরকার 370 ধারা বিলোপ করে ৷ এতে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে তার বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত হয় ৷ সেই সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ একটি বক্তৃতা দেন ৷ তাঁর দাবি ছিল, 1949 সাল থেকেই জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে বিতর্ক চলছে ৷ এদিকে বিজেপি সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে 70 দিনের মাথায় ভারতের 70 বছরের সমস্যার সমাধান করেছে ৷
আরও পড়ুন: 2019-র জানুয়ারি থেকে অগস্টে প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, প্রাক্তন আমলা ফয়জ়লের রহস্যময় টুইট
সাংবিধানিক বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এখন থেকে এই মামলার নতুন নাম হবে 'ইন রেফারেন্স: আর্টিকল 370 অফ দ্য কনস্টিটিউশন' ৷ এই মামলাগুলি দায়েরের নেতৃত্বে ছিলেন আইএএস আধিকারিক শাহ ফয়জাল ৷ আজ এই মামলার আবেদনকারীর নাম থেকে তাঁর নাম বাদ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ এছাড়া সমাজকর্মী শেহলা রশিদ সোহরার তাঁর নাম 370 ধারা প্রত্যাহারের মামলা থেকে তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ ৷
আরও পড়ুন: লাদাখের পৃথকীকরণকে স্বাগত, বিবৃতি রাজা হরি সিংয়ের ছেলের
দেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কৌশল, বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি বি আর গাভাই এবং বিচারপতি সূর্যকান্ত ৷ এদিন বেঞ্চ দু'জন আইনজীবীকে নিয়োগ করেছে ৷ একজন আবেদনকারীদের এবং আরেকজন কেন্দ্রীয় সরকারের ৷ দু'পক্ষের আইনজীবীরা এই 370 ধারা প্রত্যাহারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা সংক্রান্ত সব নথিপত্র 27 জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে জমা করবেন ৷ এদিনের পর আর কোনও নথি গ্রহণ করবে না সুপ্রিম কোর্ট ৷