নয়াদিল্লি, 13 মার্চ: সোমবার সুপ্রিম কোর্ট সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি সংক্রান্ত মামলার পিটিশনগুলিকে পাঁচ বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত একটি সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে (Same-sex Marriage will Presented to Five-Judge Constitutional Bench) ৷ সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, যে সকল সমকামী যুগল একসঙ্গে বসবাস করেন, তাঁদের ভারতীয় পরিবারের ধারণার সঙ্গে তুলনা করা যায় না ৷ যেখানে একজন স্বামী, স্ত্রী এবং তাঁদের সম্পর্ক থেকে জন্ম নেওয়া সন্তানের যুক্তি এখানে কাজ করে না ৷
সাংবিধানিক বেঞ্চে সমকামী বিবাহ সংক্রান্ত মামলার শুনানি 18 এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৷ সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এর বিরোধিতা করে দাখিল করা একটি জবাবি-হলফনামার প্রেক্ষিতে ৷ যেখানে সমকামী বিবাহকে আইনসিদ্ধ করার দাবিতে দাখিল করা একাধিক আবেদনের বিরোধিতা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ সরকারের তরফে দাখিল করা হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, নভতেজ সিং জোহরের রায়ের পরে সমকামী সম্পর্ককে অপরাধমূলক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ তার পরে কখনই সমকামিতার মতো সম্পর্ককে বিবাহের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া যায় না ৷
সরকারের মতে, বিবাহের মতো একটি প্রতিষ্ঠান বিপরীত লিঙ্গের দুই ব্যক্তির মধ্যে সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় ৷ সেটিকে বিচারের ব্যাখার মাধ্যমে বিব্রত না-করা উচিত নয় ৷ এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে আদালতে আরও বলা হয়েছে, বিয়ে সংক্রান্ত সকল ব্যক্তিগত আইন এবং নিয়মবিধি এটাই মান্যতা দেয় যে, বিয়ে একজন পুরুষ এবং মহিলার মধ্যে সম্পর্ক ৷ আর তাই সমকামী বিবাহের মতো বিষয়টিকে আইন সভার উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত ৷ যেখানে সমকামী বিবাহের জেরে সামাজিক, মানসিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়তে পারে, তা নিয়ে বিশদে আলোচনা করা যেতে পারে ৷ বিশেষ করে বাচ্চাদের উপরে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, তাও ব্যাখ্যা করা যাবে ৷
আরও পড়ুন: সমকামী বিবাহে ঘোর আপত্তি কেন্দ্রের, শীর্ষ আদালতে পেশ হলফনামা
কেন্দ্র আদালতে এই যুক্তিও দিয়েছে যে, সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দিলে তার প্রভাব সুদূরপ্রসারি হতে পারে ৷ আর তাই আইন সভার হাতে বিষয়টি ছাড়লে, রাষ্ট্রীয় স্বার্থের বিষয়টিকেও ভাবনাচিন্তার মধ্যে আনা যাবে ৷ হাজারও তর্ক-বিতর্কের পর সুপ্রিম কোর্ট এ দিন সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি সংক্রান্ত মামলাটিকে সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছে ৷ যার শুনানি শুরু হবে আগামী 18 এপ্রিল থেকে ৷