জামুই (বিহার), 27 অক্টোবর: দেড় বছরের প্রেম ৷ এ বার বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হলেন দুই তরুণী ৷ রীতি মেনে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন দুই সমপ্রেমী ৷ গত 24 অক্টোবর বিহারের জামুইয়ের একটি মন্দিরে বিয়ে করেন তাঁরা ৷
বিহারের জামুই ও লখিসরাই জেলার ঘটনা ৷ নিশা কুমারী (18) এবং কুমকুম কুমারী ওরফে কোমল (20)-এর প্রেমকাহিনি শুরু হয়েছিল তাঁদেরই এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে ৷ সেখানেই তাঁদের প্রথম দেখা হয় । অশোক তাঁতির কন্যা নিশা জামুইয়ের লক্ষ্মীপুর থানা এলাকার দিগ্গি গ্রামের বাসিন্দা ৷ আর কামেশ্বর তাঁতির মেয়ে কোমল লক্ষ্মীসরাই জেলার হালসি থানার কুসান্দা গ্রামের বাসিন্দা ।
দেড় বছর আগে নিশার মামার বিয়ে হয় । সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েই আলাপ হয় নিশা ও কোমলের ৷ এরপর তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে । যেহেতু তাঁরা কাছাকাছি গ্রামেই বাস করতেন, তাই প্রায়ই তাঁরা একে-অপরের সঙ্গে দেখা করতেন । এ ভাবে কিছুদিন কাটতেই তাঁরা বুঝতে পারেন যে তাঁরা সমকামী সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ৷ গভীর প্রেমের বাঁধনে জড়িয়ে তাঁরা বিবাহিত জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন ৷
যদিও তাঁদের সম্পর্ক প্রকাশ্যে আসার পরই বাধার মুখে পড়তে হয় দু'জনকেই । কিন্তু কোনওকিছুই তাঁদের ভালোবাসা ও একে-অপরের প্রতি আকর্ষণকে টলাতে পারেনি ৷ অবশেষে, তাঁরা মন্দিরে গিয়ে প্রথা মেনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: সমকামী যুগলের বিয়েতে আইনি বৈধতা দিল না সুপ্রিম কোর্ট
নিশা বলেন, "আমার মামার বিয়েতে প্রথম কোমলের সঙ্গে দেখা হয় আমার এবং তারপর থেকে আমাদের মধ্যে খুব জোরালো একটা বন্ধন তৈরি হয় । আমরা একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম এবং সেই কারণেই তিন দিন আগে বিয়ে করেছি ৷"
নিশা ও কোমলের বিয়ে অবাক করে দিয়েছে দিগ্গি ও কুসান্দা গ্রামের মানুষকে । দিগ্গির এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমাদের গ্রামে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে । আমরা যখন শুনলাম যে, এই দুটি মেয়ে মন্দিরে বিয়ে করেছে তখন আমরা অবাক হয়ে যাই ৷"
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমলিঙ্গে বিবাহকে বৈধতা দিতে অস্বীকার করেছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ শীর্ষ আদালত বলেছে, এ বিষয়ে আইন তৈরি করতে হলে তা করতে হবে দেশের সংসদকেই ৷