কুলু (হিমাচল প্রদেশ), 17 নভেম্বর: কুলু জেলার মণিকর্ণর কাছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উষ্ণ-কুণ্ড থেকে এক যুবক এবং একটি মেয়ের নগ্ন দেহ উদ্ধার হয় ৷ স্থানীয় লোকজনের খবরে পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ধলপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে দু'জনেই আদতে রাশিয়ার নাগরিক। এরপর কুলু পুলিশ রুশ দূতাবাসকেও বিষয়টি জানিয়েছে।
16 নভেম্বর সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। কুলু জেলার মণিকর্ণ উপত্যকার তেগদিতে এক যুবক ও একটি মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ৷ পুলিশ উভয়কেই রাশিয়ার নাগরিক বলে শনাক্ত করেছে। কুলু পুলিশ রুশ দূতাবাসকেও গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছে। কুলু'র এএসপি সঞ্জীব চৌহান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিজেই তদন্ত শুরু করেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, এদের দু'জনকেই হয় খুন করে ওই কুণ্ডে ফেলে দেওয়া হয়েছে অথবা তারা দু'জনে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ সব দিক থেকেই বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে চাইছে বলে খবর।
কুলু পুলিশ মৃত যুবক এবং ওই যুবতীর জিনিসপত্রও বাজেয়াপ্ত করেছে। তাদের কাছে পাওয়া নথির ভিত্তিতে দু'জনকেই রাশিয়ার নাগরিক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি। একই সঙ্গে দু'জনের শরীরেই কিছু আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে। তেগদির যে গরম জলের কুণ্ডে যুবক ও যুবতীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে তা আসলে একটি ক্যাম্পিং সাইট ৷ বর্তমানে এই ক্যাম্পিং সাইটটি বন্ধ ছিল বলে দাবি। এমন পরিস্থিতিতে এই দুই রুশ নাগরিক কীভাবে এখানে পৌঁছলেন এবং কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা বিশেষভাবে তদন্ত করে দেখতে চাইছে কুলু পুলিশ।
এএসপি কুলু সঞ্জীব চৌহান বলেন, "পুরো বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই পুরো বিষয়টি পুলিশ বিশেষভাবে তদন্ত করে দেখছে। একই সঙ্গে রুশ দূতাবাসকেও এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন
বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের শৌচালয়ে উদ্ধার ছুরিকাহত যুবক, মৃত্যু হাসপাতালে
অমরাবতীতে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের ধর্মঘট, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু আদিবাসী মা ও শিশুর