দিল্লি, 13 ফেব্রুয়ারি : প্রতিবাদের অধিকার ‘যেখানে-সেখানে, যখন-তখন’ ফলানো যায় না ৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কিছু দায়িত্ববোধও৷ শাহিনবাগ আন্দলনে রুজু হওয়া একটি রিভিউ পিটিশন খারিজ করে এমনই মন্তব্য় করল সুপ্রিম কোর্ট৷ গত বছর একটি রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, এনআরসি এবং সিএএ-র বিরোধিতায় দিল্লির শাহিনবাগের আন্দোলন ছিল বেআইনি৷ সেই রায় পুনর্বিবেচনা করার জন্যই রিভিউ পিটিশন দায়ের করেন 12 জন সমাজকর্মী৷ তারই ভিত্তিতে এই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের৷
শুক্রবার গভীর রাতে সংশ্লিষ্ট রিভিউ পিটিশনের যে রায় প্রকাশ্য়ে আসে, তাতে বলা হয়েছে, ‘‘যখন-তখন, যেখানে-সেখানে প্রতিবাদের অধিকার ফলানো যায় না৷ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হতেই পারে৷ কিন্তু দিনের পর দিন, দীর্ঘ সময় ধরে সর্বসাধারণের ব্য়বহারের জন্য নির্দিষ্ট কোনও জায়গা আটকে রাখা যায় না৷ তাতে অন্যদের অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হয়৷’’ এমনটাই মত বিচারপতি এসকে কল, বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চের৷ বিচারপতিদের সাফ কথা, গণ-আন্দোলনও ‘‘নির্দিষ্ট কোনও জায়গাতেই’’ হওয়া দরকার৷
প্রসঙ্গত, শাহিনবাগ ইশুতে গত বছরের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, ‘‘মতবিরোধ এবং গণতন্ত্র পরস্পরের হাত ধরাধরি করেই চলে’’৷ তাই ‘‘এই ধরনের প্রতিবাদ কাম্য় নয়’’৷
আরও পড়ুন: প্রতিবাদে যেন বাকিদের অধিকার খর্ব না হয়, শাহিনবাগে বললেন মধ্যস্থতাকারীরা
প্রসঙ্গত, অতিমারীর আগে সিএএ ও এনআরসির বিরোধিতায় দেশজুড়ে শুরু হয় আন্দোলন৷ প্রতিবাদে সোচ্চার হয় আট থেকে আশি৷ ক্রমে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় দিল্লির শাহিনবাগ৷ কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত রাস্তায় বসে ধরনায় যোগ দেন মুসলিম মহিলারা৷ শিশু থেকে বৃদ্ধা, সকলেই সামিল হন আন্দোলনে৷ তিনমাসের প্রতিবাদ নজর কাড়ে গোটা বিশ্বের৷ শেষমেশ কোরোনা আবহে আন্দোলনকারীদের শাহিনবাগ ছাড়তে বাধ্য করে প্রশাসন৷