ETV Bharat / bharat

Republic Day 2023: উত্তরাখণ্ডের ছোট্ট গ্রামে বইয়ের তীর্থক্ষেত্র! বসন্ত পঞ্চমীতে উদ্বোধন

উত্তরাখণ্ডের কোলে ছোট্ট গ্রাম মণিগুহ ৷ এখানে বাচ্চা থেকে বড়, কেউ বই পড়ার সুযোগ পায় না ৷ তাই গ্রামের মেয়ে দূরে গিয়েও ফিরে এলেন ৷ গড়লেন গ্রাম গ্রন্থাগার (Uttarakhand Library Village) ৷

Uttarakhand village library
উত্তরাখণ্ডে গ্রাম লাইব্রেরি
author img

By

Published : Jan 22, 2023, 10:20 AM IST

রুদ্রপ্রয়াগ, 22 জানুয়ারি: গোটা গ্রামটা একটা লাইব্রেরি ৷ এমন অসাধ্য সাধন করেছেন বীণা নেগি মিশ্র ৷ উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে তাঁর পৈতৃক গ্রাম মণিগুহ-র চেহারাটাই বদলে দিয়েছেন তিনি, তাঁর স্বামী সুমন মিশ্র এবং দুই স্থানীয় যুবক অলোক সোনি এবং রাহুল রাওয়াত ৷ গ্রামে অতিসাধারণ সুযোগ সুবিধেটুকুও পাওয়া যায় না ৷ পড়াশোনা তো অনেক দূর ৷ এমবিএ করে দিল্লিতে চাকরি করছিলেন বীণা ৷ মনের মধ্যে গ্রামের এই দুরবস্থার কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ মনে হত তাঁর গ্রামে লেখাপড়ার সুযোগ নেই, চাকরি নেই, মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন ৷ তাই লোভনীয় চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফেরেন বীণা নেগি (Bina Negi Mishra has turned her small village Maniguh to a library village) ৷

মণিগুহ (Maniguh) উত্তরাখণ্ডের প্রথম 'গ্রাম গ্রন্থাগার' (Library Village) ৷ এখনই 4 হাজারের বেশি বই পাওয়া যাবে এই গ্রন্থাগারে ৷ গ্রামের প্রতিটি ঘর বিভিন্ন বিষয়ের উপর বইগুলি পড়ার সুযোগ পাবে ৷ এর সঙ্গে 'মোবাইল বুক টেম্পলস' এবং ডিজিটাল প্রেজেনটেশনের (Digital Presentation) পরিকল্পনাও রয়েছে বীণা ও তাঁর দলের ৷ তাঁর স্বামী আর স্থানীয় দুই তরুণ অশোক সোনি রাহুল রাওয়াতের সহযোগিতায় 'হামারা গাঁও-ঘর ফাউন্ডেশন' (Hamara Gaon-Ghar Foundation) নামের একটি সংস্থা গড়ে ফেলেছেন তিনি ৷ এর উদ্দেশ্য গ্রামে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যাতে দেশের বড় বড় শহরগুলি থেকে মানুষ এখানে কাজের খোঁজে, পড়াশোনা করতে আসেন ৷

আরও পড়ুন: কুচকাওয়াজ হবে কর্তব্যপথে, সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনে থাকছে একাধিক চমক

মোবাইল বুক টেম্পল কী (Mobile Book Temple) ?

উত্তরাখণ্ডে একাধিক তীর্থক্ষেত্র রয়েছে ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকী বিদেশ থেকেও এখানে আসেন পর্যটকরা ৷ তাই ঘরে ঘরে বই পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তরুণরা ৷ ছোট ছোট মন্দিরে বই রাখা থাকবে ৷ এগুলি হয়ে উঠবে বই পড়ার স্পট ৷ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ধরনের মন্দির তৈরির কাজও শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ তাই গ্রাম গ্রন্থাগার হবে 'বইয়ের তীর্থক্ষেত্র' (book pilgrimage) ৷ পর্যটকদের টানার অন্যতম কারণ উত্তরাখণ্ড ৷ এই ধারণা বীণা নেগি পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের পুস্তাকাঞ্চে (Pustakanche) গ্রাম থেকে ৷

গ্রন্থাগার গড়ার কাজ প্রায় শেষের পথে ৷ আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day Inauguration) উদ্বোধন হবে ৷ সেদিন আবার বসন্ত পঞ্চমী অর্থাৎ সরস্বতী পুজো ৷ তিন দিন ধরে চলবে উৎসব ৷ 27 জানুয়ারি থাকবে গ্রাম পর্যটন এবং লোকায়ত নাটকের ডিজিটাল প্রেজেনটেশন ৷ প্রদর্শিত হবে সন্তোষ রাওয়াতের স্বল্প দৈর্ঘের সিনেমা 'পাতা টি' (Pata Ti), কবি সম্মেলন, আলোচনাসভা ৷ 28 জানুয়ারি 9 কিমি পথ ট্রেকিং এবং সেখানে রাত্রিবাস ৷ বীণা (Bina Negi Mishra) বিশ্বাস করেন, লেখাপড়াটা একটা সংস্কৃতি৷ এটা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে৷ বই পড়ার অভ্যাস একজনের ব্যক্তিত্বের অংশ ৷

রুদ্রপ্রয়াগ, 22 জানুয়ারি: গোটা গ্রামটা একটা লাইব্রেরি ৷ এমন অসাধ্য সাধন করেছেন বীণা নেগি মিশ্র ৷ উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপ্রয়াগে তাঁর পৈতৃক গ্রাম মণিগুহ-র চেহারাটাই বদলে দিয়েছেন তিনি, তাঁর স্বামী সুমন মিশ্র এবং দুই স্থানীয় যুবক অলোক সোনি এবং রাহুল রাওয়াত ৷ গ্রামে অতিসাধারণ সুযোগ সুবিধেটুকুও পাওয়া যায় না ৷ পড়াশোনা তো অনেক দূর ৷ এমবিএ করে দিল্লিতে চাকরি করছিলেন বীণা ৷ মনের মধ্যে গ্রামের এই দুরবস্থার কথা ঘুরপাক খাচ্ছিল ৷ মনে হত তাঁর গ্রামে লেখাপড়ার সুযোগ নেই, চাকরি নেই, মানুষ এলাকা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছেন ৷ তাই লোভনীয় চাকরি ছেড়ে গ্রামে ফেরেন বীণা নেগি (Bina Negi Mishra has turned her small village Maniguh to a library village) ৷

মণিগুহ (Maniguh) উত্তরাখণ্ডের প্রথম 'গ্রাম গ্রন্থাগার' (Library Village) ৷ এখনই 4 হাজারের বেশি বই পাওয়া যাবে এই গ্রন্থাগারে ৷ গ্রামের প্রতিটি ঘর বিভিন্ন বিষয়ের উপর বইগুলি পড়ার সুযোগ পাবে ৷ এর সঙ্গে 'মোবাইল বুক টেম্পলস' এবং ডিজিটাল প্রেজেনটেশনের (Digital Presentation) পরিকল্পনাও রয়েছে বীণা ও তাঁর দলের ৷ তাঁর স্বামী আর স্থানীয় দুই তরুণ অশোক সোনি রাহুল রাওয়াতের সহযোগিতায় 'হামারা গাঁও-ঘর ফাউন্ডেশন' (Hamara Gaon-Ghar Foundation) নামের একটি সংস্থা গড়ে ফেলেছেন তিনি ৷ এর উদ্দেশ্য গ্রামে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা, যাতে দেশের বড় বড় শহরগুলি থেকে মানুষ এখানে কাজের খোঁজে, পড়াশোনা করতে আসেন ৷

আরও পড়ুন: কুচকাওয়াজ হবে কর্তব্যপথে, সাধারণতন্ত্র দিবস উদযাপনে থাকছে একাধিক চমক

মোবাইল বুক টেম্পল কী (Mobile Book Temple) ?

উত্তরাখণ্ডে একাধিক তীর্থক্ষেত্র রয়েছে ৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকী বিদেশ থেকেও এখানে আসেন পর্যটকরা ৷ তাই ঘরে ঘরে বই পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তরুণরা ৷ ছোট ছোট মন্দিরে বই রাখা থাকবে ৷ এগুলি হয়ে উঠবে বই পড়ার স্পট ৷ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ধরনের মন্দির তৈরির কাজও শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ তাই গ্রাম গ্রন্থাগার হবে 'বইয়ের তীর্থক্ষেত্র' (book pilgrimage) ৷ পর্যটকদের টানার অন্যতম কারণ উত্তরাখণ্ড ৷ এই ধারণা বীণা নেগি পেয়েছেন মহারাষ্ট্রের পুস্তাকাঞ্চে (Pustakanche) গ্রাম থেকে ৷

গ্রন্থাগার গড়ার কাজ প্রায় শেষের পথে ৷ আগামী সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day Inauguration) উদ্বোধন হবে ৷ সেদিন আবার বসন্ত পঞ্চমী অর্থাৎ সরস্বতী পুজো ৷ তিন দিন ধরে চলবে উৎসব ৷ 27 জানুয়ারি থাকবে গ্রাম পর্যটন এবং লোকায়ত নাটকের ডিজিটাল প্রেজেনটেশন ৷ প্রদর্শিত হবে সন্তোষ রাওয়াতের স্বল্প দৈর্ঘের সিনেমা 'পাতা টি' (Pata Ti), কবি সম্মেলন, আলোচনাসভা ৷ 28 জানুয়ারি 9 কিমি পথ ট্রেকিং এবং সেখানে রাত্রিবাস ৷ বীণা (Bina Negi Mishra) বিশ্বাস করেন, লেখাপড়াটা একটা সংস্কৃতি৷ এটা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে৷ বই পড়ার অভ্যাস একজনের ব্যক্তিত্বের অংশ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.