ETV Bharat / bharat

মিলছে না ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা; কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীরা - করোনাভাইরাস

কোভিডে (COVID-19) সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীরা (Refugees in India) ৷ যথাযথ নথির অভাবে তাঁরা পাচ্ছেন না ফ্রি রেশন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ৷ ইউরোপের একটি সংস্থার গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়েছে ৷

refugees-in-india-among-those-worst-hit-by-covid-19-claims-researchers
মিলছে না ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা; কোভিডে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শরণার্থীরা: রিপোর্ট
author img

By

Published : Jun 18, 2021, 11:19 AM IST

মুম্বই, 18 জুন : কোভিড (COVID-19) বহু মানুষের দুর্ভোগ ডেকে এনেছে ৷ বদলে দিয়েছে জীবন-জীবিকা ৷ প্রাণে তো মেরেছেই, ভাতেও মেরেছে এই মারণ ভাইরাস ৷ গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশাপাশি পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্তদেরও ৷ তবে কোভিডের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এসে পড়েছে শরণার্থীদের (Refugees in India) উপর ৷ কারণ সরকারের কোনও সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি ৷ তাই সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত অন্তত দু লাখ শরণার্থী ৷ অধিকার সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক দলের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে ৷

তাদের প্রকাশিত ‘একসঙ্গে আমরা পারব: দেশছাড়াদের উপর কোভিড-19-এর প্রভাব ও পরিবর্তনের পথনির্দেশিকা’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের দেশছাড়ারা সরকারের দেওয়া আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজ পাননি...তাঁদের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই ৷’’

আরও পড়ুন: দেশে করোনা পরিস্থিতিতে স্বস্তি, কমল দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

দেশছাড়াদের নিয়ে গঠিত ইউরোপের প্রতিষ্ঠান ভারত-সহ 13টি দেশে বসবাসকারী শরণার্থী ও দেশছাড়াদের উপর অতিমারির প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড 19 অতিমারি ও তার জন্য রাষ্ট্রগুলির নেওয়া পদক্ষেপের খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রায় দেড় কোটি শরণার্থীর জীবন, কল্যাণ ও অধিকারের উপর ৷ রিপোর্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের কথা ৷

আরও পড়ুন: জল থইথই কলকাতা, আজও ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা

ভারত 1951 রেফিউজি কনভেনশন বা 1967 প্রোটোকলের অংশ নয়, আমাদের জাতীয়ক্ষেত্রে শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও পরিকাঠামোও নেই ৷ তবে দেশ প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী দেশে যেখানে শরণার্থীর সংখ্যা অধিক, তাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন দেশ বিশেষত আফগানিস্তান ও মায়ানমারের জন্য ইউএনএইটসিআর-এর বেঁধে দেওয়া যে নিয়ম রয়েছে তা মেনে চলে ৷

আরও পড়ুন : সুস্থতার পাশাপাশি দেশে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যাও

কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়া থেকেই দেশের একটা বৃহত্তর জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া চালু করেছে ৷ এ বছরও আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তবে শরণার্থীদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি না থাকার জন্য তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বিনামূল্যে রেশন ও হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকছেন ৷

আরও পড়ুন : ভুয়ো খবর ছড়ানোয় অভিযুক্ত টুইটার, হারাল আইনি রক্ষাকবচ

2019 সালে বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর অসমে প্রায় 1,25,000 জনকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এ ছাড়াও প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা 40,000-এরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকেও আশ্রয় দিয়েছে ভারত ৷ তবে অতিমারি পরস্থিতি এই শরণার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

মুম্বই, 18 জুন : কোভিড (COVID-19) বহু মানুষের দুর্ভোগ ডেকে এনেছে ৷ বদলে দিয়েছে জীবন-জীবিকা ৷ প্রাণে তো মেরেছেই, ভাতেও মেরেছে এই মারণ ভাইরাস ৷ গরিব ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের পাশাপাশি পকেটে টান পড়েছে মধ্যবিত্তদেরও ৷ তবে কোভিডের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব এসে পড়েছে শরণার্থীদের (Refugees in India) উপর ৷ কারণ সরকারের কোনও সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প বা বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি ৷ তাই সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত অন্তত দু লাখ শরণার্থী ৷ অধিকার সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক দলের গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে ৷

তাদের প্রকাশিত ‘একসঙ্গে আমরা পারব: দেশছাড়াদের উপর কোভিড-19-এর প্রভাব ও পরিবর্তনের পথনির্দেশিকা’ শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতের দেশছাড়ারা সরকারের দেওয়া আর্থিক ত্রাণ প্যাকেজ পাননি...তাঁদের কাছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা নাগরিকত্বের প্রমাণ নেই ৷’’

আরও পড়ুন: দেশে করোনা পরিস্থিতিতে স্বস্তি, কমল দৈনিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা

দেশছাড়াদের নিয়ে গঠিত ইউরোপের প্রতিষ্ঠান ভারত-সহ 13টি দেশে বসবাসকারী শরণার্থী ও দেশছাড়াদের উপর অতিমারির প্রভাব নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে ৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড 19 অতিমারি ও তার জন্য রাষ্ট্রগুলির নেওয়া পদক্ষেপের খুবই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রায় দেড় কোটি শরণার্থীর জীবন, কল্যাণ ও অধিকারের উপর ৷ রিপোর্টে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও অন্যান্য দেশের কথা ৷

আরও পড়ুন: জল থইথই কলকাতা, আজও ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা

ভারত 1951 রেফিউজি কনভেনশন বা 1967 প্রোটোকলের অংশ নয়, আমাদের জাতীয়ক্ষেত্রে শরণার্থীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও পরিকাঠামোও নেই ৷ তবে দেশ প্রতিনিয়ত প্রতিবেশী দেশে যেখানে শরণার্থীর সংখ্যা অধিক, তাদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে থাকে এবং বিভিন্ন দেশ বিশেষত আফগানিস্তান ও মায়ানমারের জন্য ইউএনএইটসিআর-এর বেঁধে দেওয়া যে নিয়ম রয়েছে তা মেনে চলে ৷

আরও পড়ুন : সুস্থতার পাশাপাশি দেশে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যাও

কেন্দ্রীয় সরকার করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউ আছড়ে পড়া থেকেই দেশের একটা বৃহত্তর জনসংখ্যাকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া চালু করেছে ৷ এ বছরও আগামী নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ তবে শরণার্থীদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি না থাকার জন্য তাঁরা অনেক ক্ষেত্রেই বিনামূল্যে রেশন ও হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকছেন ৷

আরও পড়ুন : ভুয়ো খবর ছড়ানোয় অভিযুক্ত টুইটার, হারাল আইনি রক্ষাকবচ

2019 সালে বিতর্কিত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হওয়ার পর অসমে প্রায় 1,25,000 জনকে বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ৷ এ ছাড়াও প্রতিবেশী মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা 40,000-এরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিমকেও আশ্রয় দিয়েছে ভারত ৷ তবে অতিমারি পরস্থিতি এই শরণার্থীদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.