ETV Bharat / bharat

Couple Cut off Head in Havan Kund: যজ্ঞকুণ্ডে মাথা নিবেদন, কুসংস্কারের বশে আত্মাহুতি দম্পতির

author img

By

Published : Apr 17, 2023, 3:28 PM IST

যজ্ঞকুণ্ডে নিজেদের মাথা নিবেদন করলেন রাজকোটের এক দম্পতি ৷ কুসংস্কারের বশে তাঁরা আত্মাহুতি দিয়েছেন ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷

Couple Cut off Head in Havan Kund ETV Bharat
কুসংস্কারের বশে আত্মাহুতি দম্পতির

রাজকোট, 17 এপ্রিল: কুসংস্কারের ফেরে পড়ে প্রাণ বিসর্জন দিলেন এক দম্পতি ৷ যজ্ঞকুণ্ডে প্রসাদ হিসেবে নিজেদের মাথা নিবেদন করেছেন স্বামী ও স্ত্রী ৷ নাবালক সন্তানদের মামার বাড়িতে রেখে এসে যজ্ঞকুণ্ডে আত্মাহুতি দেন তাঁরা ৷

হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে রাজকোটের ভিঞ্চিয়ায় ৷ পুজো দেওয়ার জন্য ধড়-মুণ্ড আলাদা হয়েছে হেমু মাকওয়ানা ও হংসবেন মারওয়ানার ৷ তান্ত্রিক ক্রিয়ায় যজ্ঞকুণ্ডে নিজেদের মাথা নিবেদন করেন এই দম্পতি ৷ শুধু তাই নয়, সুইসাইড নোটে তাঁরা গোটা ঘটনার কথা লিখেও গিয়েছেন ৷ একটি দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে তাঁদের দেহের কাছ থেকে । সেই নোটে ওই মহিলা তাঁর বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর স্বামী স্বাক্ষর করেছেন । পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজকোটে পাঠিয়েছে । হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষাও ৷

রাজকোট জেলার ভিঞ্চিয়া মধুকা রোডের ভোজভাই মাকওয়ানার মালিক তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূর কুসংস্কারে আত্মাহুতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন । বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায় । ভোজভাইয়ের ছেলে হেমুভাই মাকওয়ানা ও তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা নিজে পদ্মপুজোর যজ্ঞ করেন এবং তাঁদের মাথা দান করেন । যজ্ঞের আগে তাঁদের নাবালক ছেলে-মেয়েদের মামার বাড়িতে রেখে এসে, পরে যজ্ঞের উপকরণ নিয়ে মাঠে যান তাঁরা । গত কয়েক মাস ধরে তাঁরা তাঁদের খামারে একটি যজ্ঞকুণ্ড করেছিলেন ৷

উভয়ের সুইসাইড নোট ছাড়াও ঘটনাটি যে স্থানে হয়েছে, সেখান থেকে 50 টাকার স্ট্যাম্প পেপারও পাওয়া গিয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে । পদ্ম পুজো করার কারণ কী ? কেউ কি তাঁদের তান্ত্রিক আচার করতে প্ররোচিত করেছিলেন ? কী উদ্দেশ্যে তান্ত্রিক আচার করা হচ্ছিল ? পরিবারের অন্য সদস্যরা কি তান্ত্রিক আচার সম্পর্কে অবগত ছিলেন না ? রবিবার দুপুরে মেয়ে গিয়ে বাবা-মাকে এই অবস্থায় দেখে সবাই পুলিশকে খবর দেন । হেমুভাই ভোজভাই মাকওয়ানা এবং তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা রাতে তান্ত্রিক আচার পালনের পর দুজনেই পদ্ম পূজা করেন । রাতে তান্ত্রিক আচারের মাধ্যমে পুজো শেষ করে তাঁরা আগুনের গহ্বরে মাথা দিয়ে দেন বলে মনে করা হচ্ছে ।

দু'জনেরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভিঞ্চিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভিঞ্চিয়া থানার পুলিশ । এই খবর গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ৷

জন বিজ্ঞান জনসংস্থার কর্মী জয়ন্ত পান্ড্য বলেছেন, "আমি এই ধরনের কাজের সমালোচনা করছি ৷ আমরা কোন দিকে যাচ্ছি ! এটা কী ধরনের চিন্তাভাবনা ! গুজরাতে কুসংস্কারের ঘটনা বাড়ছে ৷" তিনি একটি সচেতনতা প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছেন । তাঁর কথায়, "আমরা সবাই মিলে এমন একটি কর্মসূচি করব যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়, ভুলকে মেনে নিয়ে এমন কাজ যাতে কেউ না করেন, যার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে হবে । এ ধরনের লোকদের গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে ৷"

নিহতের আত্মীয় জয়ন্তীভাই জানান, "তিনি আমার বোন ছিলেন ৷ উভয়েই কোরবানি দিয়েছেন ৷ একটি লোহার স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে যা খুবই ভারি ছিল । কারও মাথায় পড়লেই জীবন শেষ । সন্ধ্যায় দুজনকে ছেড়ে দিয়েছিলাম । রাতে ফুল নিয়ে মাঠে যাই । দেখি, দুজনেই আত্মাহুতি দিয়েছেন । দুজনের কারওকেই চিন্তিত মনে হয়নি । অর্থের বিষয়ও ছিল না । বোনের স্বামী বেকারিতে কাজ করতেন এবং মাঠে পূজা দিতে যেতেন । আমরা তাঁর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পেরেছি । একজনের মুখ পুড়ে গিয়েছে এবং অন্যজনের মুখ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে । তবে কী কারণে তাঁরা এই কাণ্ড ঘটালেন, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন: বিবাদের জেরে একই পরিবারের 4 সদস্যকে খুনের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে

রাজকোট, 17 এপ্রিল: কুসংস্কারের ফেরে পড়ে প্রাণ বিসর্জন দিলেন এক দম্পতি ৷ যজ্ঞকুণ্ডে প্রসাদ হিসেবে নিজেদের মাথা নিবেদন করেছেন স্বামী ও স্ত্রী ৷ নাবালক সন্তানদের মামার বাড়িতে রেখে এসে যজ্ঞকুণ্ডে আত্মাহুতি দেন তাঁরা ৷

হাড়হিম করা এই ঘটনা ঘটেছে রাজকোটের ভিঞ্চিয়ায় ৷ পুজো দেওয়ার জন্য ধড়-মুণ্ড আলাদা হয়েছে হেমু মাকওয়ানা ও হংসবেন মারওয়ানার ৷ তান্ত্রিক ক্রিয়ায় যজ্ঞকুণ্ডে নিজেদের মাথা নিবেদন করেন এই দম্পতি ৷ শুধু তাই নয়, সুইসাইড নোটে তাঁরা গোটা ঘটনার কথা লিখেও গিয়েছেন ৷ একটি দুই পৃষ্ঠার সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে তাঁদের দেহের কাছ থেকে । সেই নোটে ওই মহিলা তাঁর বুড়ো আঙুলের ছাপ দিয়ে গিয়েছেন এবং তাঁর স্বামী স্বাক্ষর করেছেন । পুলিশ দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজকোটে পাঠিয়েছে । হচ্ছে ফরেন্সিক পরীক্ষাও ৷

রাজকোট জেলার ভিঞ্চিয়া মধুকা রোডের ভোজভাই মাকওয়ানার মালিক তাঁর ছেলে এবং পুত্রবধূর কুসংস্কারে আত্মাহুতি দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছেন । বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকায় । ভোজভাইয়ের ছেলে হেমুভাই মাকওয়ানা ও তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা নিজে পদ্মপুজোর যজ্ঞ করেন এবং তাঁদের মাথা দান করেন । যজ্ঞের আগে তাঁদের নাবালক ছেলে-মেয়েদের মামার বাড়িতে রেখে এসে, পরে যজ্ঞের উপকরণ নিয়ে মাঠে যান তাঁরা । গত কয়েক মাস ধরে তাঁরা তাঁদের খামারে একটি যজ্ঞকুণ্ড করেছিলেন ৷

উভয়ের সুইসাইড নোট ছাড়াও ঘটনাটি যে স্থানে হয়েছে, সেখান থেকে 50 টাকার স্ট্যাম্প পেপারও পাওয়া গিয়েছে । এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে । পদ্ম পুজো করার কারণ কী ? কেউ কি তাঁদের তান্ত্রিক আচার করতে প্ররোচিত করেছিলেন ? কী উদ্দেশ্যে তান্ত্রিক আচার করা হচ্ছিল ? পরিবারের অন্য সদস্যরা কি তান্ত্রিক আচার সম্পর্কে অবগত ছিলেন না ? রবিবার দুপুরে মেয়ে গিয়ে বাবা-মাকে এই অবস্থায় দেখে সবাই পুলিশকে খবর দেন । হেমুভাই ভোজভাই মাকওয়ানা এবং তাঁর স্ত্রী হংসাবেন হেমুভাই মাকওয়ানা রাতে তান্ত্রিক আচার পালনের পর দুজনেই পদ্ম পূজা করেন । রাতে তান্ত্রিক আচারের মাধ্যমে পুজো শেষ করে তাঁরা আগুনের গহ্বরে মাথা দিয়ে দেন বলে মনে করা হচ্ছে ।

দু'জনেরই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভিঞ্চিয়া সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ভিঞ্চিয়া থানার পুলিশ । এই খবর গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে ৷

জন বিজ্ঞান জনসংস্থার কর্মী জয়ন্ত পান্ড্য বলেছেন, "আমি এই ধরনের কাজের সমালোচনা করছি ৷ আমরা কোন দিকে যাচ্ছি ! এটা কী ধরনের চিন্তাভাবনা ! গুজরাতে কুসংস্কারের ঘটনা বাড়ছে ৷" তিনি একটি সচেতনতা প্রচার চালাবেন বলে জানিয়েছেন । তাঁর কথায়, "আমরা সবাই মিলে এমন একটি কর্মসূচি করব যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হয়, ভুলকে মেনে নিয়ে এমন কাজ যাতে কেউ না করেন, যার জন্য জীবন বিসর্জন দিতে হবে । এ ধরনের লোকদের গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে ৷"

নিহতের আত্মীয় জয়ন্তীভাই জানান, "তিনি আমার বোন ছিলেন ৷ উভয়েই কোরবানি দিয়েছেন ৷ একটি লোহার স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে যা খুবই ভারি ছিল । কারও মাথায় পড়লেই জীবন শেষ । সন্ধ্যায় দুজনকে ছেড়ে দিয়েছিলাম । রাতে ফুল নিয়ে মাঠে যাই । দেখি, দুজনেই আত্মাহুতি দিয়েছেন । দুজনের কারওকেই চিন্তিত মনে হয়নি । অর্থের বিষয়ও ছিল না । বোনের স্বামী বেকারিতে কাজ করতেন এবং মাঠে পূজা দিতে যেতেন । আমরা তাঁর মেয়ের কাছ থেকে জানতে পেরেছি । একজনের মুখ পুড়ে গিয়েছে এবং অন্যজনের মুখ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছে । তবে কী কারণে তাঁরা এই কাণ্ড ঘটালেন, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন: বিবাদের জেরে একই পরিবারের 4 সদস্যকে খুনের অভিযোগ উত্তরপ্রদেশে

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.