নয়াদিল্লি, 11 নভেম্বর: রাজীব গান্ধি হত্যায় (Rajiv Gandhi Assassination Case) যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত অন্যতম দুই দোষী নলিনী শ্রীহরণ ও আর পি রবিচন্দ্রন-সহ 6 জনকে মুক্তির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Orders Release of Two Convicts) ৷ তাঁরা দু’জনেই শীর্ষ আদালতে আগাম মুক্তির দাবিতে আবেদন করেছিলেন ৷ প্রসঙ্গত, রাজীব গান্ধি হত্যায় অন্যতম আসামি এ জি পেরারিভালানকে 2022 সালের 18 মে মুক্তি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ৷ পেরারিভালান 30 বছরের বেশি সময় কারাবাসে ছিলেন ৷
এ দিন আদালতে রায় ঘোষণার সময় বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি বি ভি নাগরাথন তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘‘এ জি পেরারিভালানকে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে যে যুক্তি ছিল তা এঁদের দু’জনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য ৷’’ সংবিধানের 142 ধারা অনুযায়ী আদালত তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে নলিনী শ্রীহরণ ও আর পি রবিচন্দ্রনকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে ৷ যা গত 18 মে এ জি পেরারিভালানের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত প্রয়োগ করেছিল ৷ এদিন নলিনী শ্রীহরণ এবং আরপি রবিচন্দ্রন ছাড়া যে 4 জনকে আদালত মুক্তি দিয়েছে ৷ তাঁরা হলেন, সন্থন, মুরুগন, রবার্ট পায়াস এবং জয়াকুমার ৷
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এর প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এদিন আদালত তার নির্দেশে জানায়, ‘‘দেরি হওয়ার কারণে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডকে যাবজ্জীবনে পরিবর্তন করা হয়েছিল ৷ সেই কারণে অন্য কোনও মামলা ছাড়া, এক্ষেত্রে আবেদনকারীদের মুক্তি দেওয়া হল ৷’’
আরও পড়ুন: রাজীব গান্ধি হত্যাকাণ্ডে অন্যতম দোষী পেরারিভালানকে মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, 1991 সালের 21 মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুরের নির্বাচনী জনসভায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ করিয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে হত্যা করেছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে জানা যায়, তার নাম ধানু ছিল ৷ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধিকে হত্যার অভিযোগে পরবর্তী সময়ে এ জি পেরারিভালান, নলিনী শ্রীহরণ ও আরপি রবিচন্দ্রনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল ৷