কলকাতা, 5 জানুয়ারি: বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উপর কারা হামলা চালিয়েছিল তা জানা গেল । তাদের চেহারা ধরা পড়ল সিসিটিভি ফুটেজে। ট্রেনের বাইরে থাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় ধরা বেশ কিছু ব্যক্তিকে ট্রেনের দিকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ও পাথর ছুড়তে দেখা যায়। পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে কিছু আগেই এই সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে (Vande Bharat Express Was Attacked)। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, পাথর ছোড়ার ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের মাগুরজানে এলাকায় । সিসিটিভি ফুটেজের উপর ভিত্তি করে এবার খোঁজা হচ্ছে দুষ্কৃতীদের।
রেলের তরফে প্রকাশ করা ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে ট্রেনটি একটি ব্রিজে ওঠার আগে ট্র্যকের দুধারে জটলা করে দাঁড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু লোক । তাদের মধ্য কেউ কেউ থেকে ট্রেনের দিকে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে । কারও কারও হাতে ঢিলও ছিল। সূত্রের খবর যে বেলা 12.35 নাগাদ বিহারের মাগুরজানে এই ঘটনা ঘটে। কাঠিয়ার ডিভিশনের আরপিএফের ডিআইজি (Katihar Division) আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। 30 ডিসেম্বর সাড়ম্বরে উদ্বোধন হওয়ার দুদিনের মধ্যেই তাল কাটে রাজ্যে প্রথম সেমি হাইস্পিড বন্দে ভারতের। পর পর দুদিন ট্রেনের উপর পাথর ছুড়ে হামলা করা হয়। একদিন (2 জানুয়ারি) আক্রমণ হয় দুপুরের দিকে, অন্যদিন (3 জানুয়ারি) রাতে । এই ফুটেজটি দুপুরের । অতএব রেলের তরফে সরাসরি ঘোষণা করা না হলেও মোটের উপর স্পষ্ট এটি 2 জানুয়ারির ফুটেজ । প্রথমে কয়েকটি সূত্রে দাবি করা হয় ঘটনাটি ঘটেছ পশ্চিমবঙ্গে । কিন্তু রেলের তরফে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হল ঘটনাটি বিহারের ।
পূর্ব রেল সূত্রে খবর, স্টেশনের বাইরে থেকেই ট্রেনের দিকে পাথর ছোড়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার পরে আরো বেশি তৎপর রেল কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই বন্দে ভারতের উপর দু'দুবার আক্রমণ হয়েছে । এই আক্রমণকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। বঙ্গ বিজেপির তরফে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি ডঃ সুকান্ত মজুমদার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। এই বিষয় সুকান্ত মজুমদার বলেন, " এর আগে CAA ও NRC ভয় দেখিয়ে অনেক ট্রেন পড়ানো হয়েছিল। এবার এখানে বন্দে ভারত উদ্বোধনের দিন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে সাধারণ মানুষ জয় শ্রীরাম বলেছেন তারই প্রতিশোধ হিসেবে হয়তো ট্রেনে ভাঙচুর চলছে। আরও দুটি ট্রেন আমাদের পাওয়ার কথা ছিল। রাজ্যে এই ধরনের কাজকর্ম হতে থাকলে রেল কর্তৃপক্ষ হয়ত সিদ্ধান্ত বদল করতে পারেন। যারা ঢিল মারছে তারা ধরা পড়ুক । ঢিল মারা বন্ধ হোক। বন্দে ভারত যাতে সাধারণ মানুষের জন্য যাতে ভালোভাবে চলতে পারে সেটা রাজ্য সরকার দেখুক।" তবে রেলের তরফে যে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনা হযেছে তা যে বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করবে তা বলাই যায় ।