নয়াদিল্লি, 10 অক্টোবর : জনসমক্ষে থুথু ফেলার বদ অভ্যাস ভারতের বহু মানুষের মধ্যে রয়েছে ৷ বিশেষ করে রেল পরিসরে পান ও গুটকা খেয়ে থুথু ফেলে দৃশ্য দূষণের মত ন্যক্কারজনক কাজকর্ম বহু মানুষের মধ্যে রয়েছে ৷ করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ রোধ করতে মহামারি আইন প্রয়োগ করেও এই বদ অভ্যাস রোধ করা যায়নি ৷ তাই এর থেকে সুরাহা পেতে পকেটে নিয়ে ঘোরা যাবে এমন বায়োডিগ্রেডেবল স্পিটটুন বা থুথু ফেলার কৌটো আনল ভারতীয় রেল ৷ যা পুনর্ব্যবহারযোগ্য ৷
শুধু তাই নয়, সবুজায়নের লক্ষ্যে ওই স্পিটটুনের সঙ্গে একটি করে বীজ দেওয়া হচ্ছে ৷ যখন ওই বায়োডিগ্রেডেবল স্পিটটুনটি যখন নষ্ট হয়ে যাবে, সেটিকে ফেলে দেওয়ার পর তার থেকে উদ্ভিদের জন্ম হবে ৷ আর এই প্রকল্পের জন্য ভারতীয় রেল প্রায় 1200 কোটি টাকা খরচ করছে ৷ সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল ব্যবহার করা হচ্ছে রেল স্টেশনে থুথু ফেলার কারণে হওয়া দাগ পরিষ্কার করার জন্য ৷ বিশেষ করে পান এবং গুটকার দাগ পরিষ্কার করতে ৷
আরও পড়ুন : Delhi high alert : উৎসবে জঙ্গি হামলার সম্ভাবনা, রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ
রেল স্টেশন এবং তার সংলগ্ন এলাকায় এমন অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে রেলের তরফে যাত্রীদের সচেতন করা হচ্ছে ৷ সেই সঙ্গে স্পিটটুনের পাউচের ভেডিং মেশিন বা কিয়স্ক বসানো হয়েছে পশ্চিম, উত্তর এবং মধ্য রেলের 42টি স্টেশনে ৷ যেখানে 5 টাকা এবং 10 টাকা দিয়ে এই ওই ভেডিং মেশিন বা কিয়স্ক থেকে স্পিটটুন সংগ্রহ করতে পারবেন যাত্রীরা ৷ ইজিস্পিট নামে স্পিটটুন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে এই ভেডিং মেশিন বসানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : Puri Girl Molestation: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ভেতরে পুরোহিতের লালসার শিকার বালিকা !
এই স্পিটটুনগুলি খুব সহজে পকেটে নিয়ে ঘোরা যাবে ৷ আর যা বিভিন্ন মাপের হয় এবং অন্তত 15 থেকে 20 বার ব্য়বহার করা যাবে ৷ যার মধ্যে একটি বীজ থাকবে ৷ আর সেই সঙ্গে এমন একটি দ্রব্য ওই কৌটোর মধ্যে থাকবে যা থুথুকে শুষে নেওয়ার পর সেটিকে শক্ত একটি দ্রব্যে পরিণত করে দেবে ৷ ব্যবহারের পর সেটিকে মাটিতে বা পাঁকের মধ্যে ফেলে দিলে ওই স্পিটটুলে থাকা বীজ থেকে গাছের জন্ম হবে ৷