নয়াদিল্লি, 31 মার্চ: রাহুল গান্ধি নির্বাচনে লড়তে পারবেন না ৷ এবার তাঁরই নামের অন্য এক প্রার্থীর আবেদনও খারিজ করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷ তিনি নির্বাচনে লড়ার খরচের হিসেবনিকেশ দিতে পারেননি ৷ তাই তাঁর ভোটে প্রার্থী হওয়ার অধিকার বাতিল করেছে কমিশন ৷ তবে কাহানি মে টুইস্ট এই রাহুলের নেমসেক রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ওয়েনাডে কংগ্রেস নেতা তাঁকে 7 লক্ষেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন ৷ নির্দল রাহুল মাত্র 2 হাজার 196টি ভোট পেয়েছিলেন ৷
একই নামের প্রার্থীরা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট-যুদ্ধে নেমেছেন, এটা সাধারণ ব্যাপার ৷ এমনটা হয়ে থাকে ৷ তবে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম ও জনপ্রতিনিধি আইন অনুযায়ী প্রত্যেক প্রার্থীকেই নির্বাচনে লড়ার খরচের হিসেবের রিপোর্ট জমা দিতে হয় ৷ 29 মার্চ নির্বাচন কমিশনের পোল প্যানেল একটি তালিকা প্রকাশ করে ৷ সেখানে 1951 সালের জনপ্রতিনিধি আইনের আওতায় নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না, এমন ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৷ তাতে রয়েছে এই রাহুল গান্ধির ৷ 2021 সালের 13 সেপ্টেম্বর থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ আগামী 2024 সালের 13 পর্যন্ত কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না ৷
10এ ধারা অনুযায়ী, সময়ের মধ্যে নির্বাচনে সব হিসেবপত্র আইন ও রীতি মেনে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে ৷ তাতে কমিশন সন্তুষ্ট না-হলে তাঁর ভোটে প্রার্থী হওয়ার ক্ষমতা বাতিল করতে পারে কমিশন ৷ এর জন্য কোনও অজুহাত গ্রাহ্য হবে না ৷ সরকারি গেজেটে কমিশন সেই প্রার্থীর পদ খারিজের কথা ঘোষণা করবে ৷ এই নির্দেশ জারির সময় থেকে তিন বছর পর্যন্ত তিনি কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না ৷ এদিকে 24 মার্চ রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা ৷ 2019 সালে তাঁর মোদির পদবি সংক্রান্ত একটি মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয় ৷ গুজরাতের সুরাতে দায়রা আদালত তাঁকে 2 বছরের সাজা দেয় ৷ আর তার 24 ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই সাংসদ পদ হারান কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের আদালতে রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারি ললিত মোদির