পটনা, 25 মার্চ: মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছে শুক্রবার। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মোদি-পদবি বিতর্কের জেরে 12 এপ্রিল পটনা হাইকোর্টে হাজিরা দিতে হবে রাহুল গান্ধীকে। বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুরাতের পাশাপাশি পটনাতেও রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতেই হাজিরা দিতে হবে প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে (Rahul Gandhi to appear before Patna court on April 12) ।
2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটকের একটি জনসভায় নীরব মোদি থেকে শুরু করে ললিত মোদিদের নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্ক উসকে দেন রাহুল। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নামও উল্লেখ করে তিনি বলেন, "সব চোরেদের পদবি মোদি হয় কেন?" এই বক্তব্যের জন্যই তাঁর বিরুদ্ধে সুরাতে অভিযোগ দায়ের হয় । সেই মামলায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতারর দু'বছরের সাজা হয়েছে। এরপরই নিয়ম অনুযায়ী সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায় রাহুলের । কিন্তু এতেই যে তাঁর সমস্যা শেষ হয়ে যাচ্ছে তা নয়। একই মামলায় আবারও আদালতে হাজিরা দিতে হবে রাজীব-তনয়কে।
পটনায় মামলা দায়ের করেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদি। সুরাতের আদালতে রাহুলের সাজা ঘোষণার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সুশীল। তিনি বলেন,"সত্যি কথা বলেছেন বলে রাহুলের সাজা হয়েছে । এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই । রাহুলকে পিছিয়ে পড়া সমাজের মানুষদের অপমান করেছেন বলেই তাঁর সাজা হয়েছে।"
শুধু সুশীল মোদি নন, বিজেপির প্রায় সব নেতাই এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে আক্রমণ করছেন। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে শুক্রবার সকালে এ নিয়ে প্রথম মন্তব্য করেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁর দাবি, রাহুলের মন্তব্যে সমগ্র ওবিসি সমাজের অপমান হয়েছে। আর তাই তাঁরা আগামী নির্বাচনে এই এই অপমানের বদলা নেবে। একটু ভিন্ন সুরে রাহুলকে আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুও। কটাক্ষের সুরে তিনি দাবি করেন, রাহুলের মন্তব্য অসম্মানজনক। তবে তার জন্য গান্ধী পদবীকে অপমান করা যায় না।
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ খারিজ হয়েছিল ইন্দিরারও, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের কোপে পড়েছেন লালু-জয়ললিতাও