কন্যাকুমারী, 7 সেপ্টেম্বর: 'ভারত জোড়ো যাত্রা' (Bharat Jodo Yatra)-এর আয়োজন কংগ্রেসের তরফে করা হলেও এর পক্ষে রয়েছেন দেশের কোটি কোটি মানুষ ৷ বুধবার তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কন্যাকুমারী (Kanyakumari) থেকে এই কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে একথা বলেন রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, "শুধুমাত্র কংগ্রেস নয়, আজ দেশের কোটি কোটি মানুষ ভারত জোড়ো যাত্রার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন ৷" এদিনের এই অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদাম্বরম, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, রাজ্যসভার সাংসদ কেসি বেণুগোপাল, ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি কেএস আলাগিরি, কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি ডিকে শিবকুমার-সহ অন্যরা ৷
এদিন রাহুল গান্ধি কন্য়াকুমারী পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানান অশোক গেহলট ও কেসি বেণুগোপাল ৷ পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে বুধবার বিকেল পাঁচটায় ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা করেন রাহুল ৷ সংশ্লিষ্ট অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে একের পর এক ইস্যুতে বিজেপি ও আরএসএস-কে নিশানা করেন তিনি ৷
আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানে গিয়ে ভারত জোড়ো যাত্রা করুন', রাহুলকে কটাক্ষ হিমন্তের
এদিন রাহুল গান্ধি তাঁর ভাষণে বলেন, আরএসএস এবং বিজেপি মনে করে, ভারতের জাতীয় পতাকা তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ৷ কিন্তু, আদতে এই তেরঙ্গা ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে ৷ এই দেশের যাঁরা অধিবাসী, তাঁদের সকলের ধর্ম, তাঁদের সকলের ভাষার প্রতিনিধি হল ভারতের জাতীয় পতাকা ৷ এই পতাকা নির্দিষ্ট কোনও একজনের অর্জন করা সম্পত্তি নয় ৷ বরং প্রত্যেক ভারতীয়ের পরিচয় ৷ এই পতাকা শুধুমাত্র কোনও একটি রাজ্য নয়, বরং ভারতের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত ৷ এই পতাকা শুধুমাত্র কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম, সম্প্রদায় বা ভাষাকে বোঝায় না, বরং দেশের প্রত্য়েকটি ধর্ম, সম্প্রদায় ও ভাষার প্রতিনিধিত্ব করে ৷
রাহুলের বক্তব্য, কেন্দ্রের বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ভারতকে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নিরিখে ভাগ করার চেষ্টা করছে ৷ কিন্তু, তারা এই কাজে সফল হবে না ৷ ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল, আছে এবং থাকবে ৷ রাহুলের কথায়, "বিজেপি মনে করে ইডি, সিবিআই, আয়কর বিভাগকে দিয়ে বিরোধীদের ভয় দেখাবে ৷ যত ইচ্ছা জেরা করুক, কিন্তু, তাতে বিরোধীদের একজন নেতাও ভয় পাবেন না ৷ বিজেপি মনে করে তারা ধর্ম এবং ভাষার নিরিখে ভারতকে ভাগ করে দেবে ৷ কিন্তু, এই দেশ কখনই বিভক্ত হবে না ৷ এই দেশ চিরকাল অখণ্ড থাকবে ৷ আজ ভারত সবথেকে শোচনীয় অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ৷ এই মুহূর্তে দেশে বেকারত্বের হার সবথেকে বেশি ৷ দেশ ক্রমশ ধ্বংসের দিকে এগিয়ে চলেছে ৷"