নয়াদিল্লি, 8 জানুয়ারি: ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) উত্তর ভারতে (North India) আরও ভালো সাড়া পাচ্ছে ৷ ফলে এই যাত্রা নিয়ে করা কিছু মানুষের ভবিষ্যৎবাণী বিফলে যাচ্ছে ! সমালোচকদের এভাবেই জবাব দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi) ৷ রবিবার হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাহুল ৷ সেখানেই তাঁর মুখে ভারত জোড়ো যাত্রা সম্পর্কে একথা শোনা যায় ৷
এদিন এই সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধি বলেন, "দক্ষিণের তুলনায় উত্তর ভারতে ভারত জোড়ো যাত্রা আরও বেশি সাড়া পাচ্ছে ৷ উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং হরিয়ানায় অসংখ্য সাধারণ মানুষ এই যাত্রায় সামিল হয়েছেন ৷ তবে, এই সমর্থন আদতে নমুনা মাত্র ৷ মানুষ যে এই যাত্রার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত বলেই ভাবছেন, এই ঘটনাই তার প্রমাণ ৷"
আরও পড়ুন: ভারত জোড়ো যাত্রায় প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর, রাহুলের সঙ্গে পা মেলালেন রঘুরাম রাজন
ঘটনায় উচ্ছ্বসিত রাহুলের দাবি, আগামী দিনে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসই সরকার গঠন করবে ৷ একইসঙ্গে রাহুল জানান, তাঁর উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সরকার গঠন করা নয় ৷ বরং সেই সরকারের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েই আপাতত মনোনিবেশ করতে চান তিনি ৷ রাহুলের কথায়, "এটা (সরকার গঠন) কোনও এজেন্ডা নয় ৷ বরং নির্বাচনী ইস্তেহারে প্রকাশ করা সমস্ত প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নই হল আসল এজেন্ডা ৷"
রাহুল গান্ধির দাবি, যত দিন যাচ্ছে, আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ এই যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন ৷ কারণ, তাঁরা সকলে মিলেমিশে, শান্তিতে বসবাস করতে চান ৷ তাঁরা সৌভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসায় বিশ্বাস করেন ৷ তবে, এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলনে সরাসরি কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দিতে রাজি হননি রাহুল গান্ধি ৷
এর আগে গত শুক্রবার ফের একবার কেন্দ্রীয় প্রকল্প অগ্নিবীর নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন রাহুল ৷ তিনি দাবি করেছিলেন, হরিয়ানা রাজ্যটি 'বেকারত্বে চ্য়াম্পিয়ন' হয়েছে ! কারণ, এই রাজ্য়ের যুবদের জন্য কর্মনিয়োগের কোনও ব্যবস্থাই নেই ! উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই হরিয়ানার পানিপথে একটি জনসভা করেন রাহুল ৷ সেই সভায় রাহুল বলেন, আগে একজন সৈনিক তাঁর দেশের সেবা করার জন্য 15 বছর সময় পেতেন ৷ তাঁদের যথাযত প্রশিক্ষণ দেওয়া হত ৷ তাঁরা যখন অবসর নিতেন, তখন তাঁদের জন্য সম্মানজনক ও যথেষ্ট পরিমাণে আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হত ৷ কিন্তু, এবার নিয়োগের পাঁচ বছর পরই একজন সৈনিক বেকার হয়ে যাবেন !
রাহুলের দাবি, আগে এই পানিপথই ছিল মাঝারি উদ্যোগপতিদের হাব ৷ কিন্তু, নোটবন্দি, জিএসটির জেরে সমস্ত গোটা পরিস্থিতিটাই বদলে গিয়েছে ৷ রাহুল মনে করেন, নোটবন্দি বা জিএসটি কোনও নীতি হতে পারে না ৷ এগুলি আদতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগপতিদের ধ্বংস করার অস্ত্র !