নয়াদিল্লি, 2 এপ্রিল: জেল যাত্রা ঠেকাতে নিম্ন আদালতের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করতে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি ৷ 2019 সালে 'মোদি' পদবি নিয়ে রাহুলের মন্তব্য়ের প্রেক্ষিতে দায়ের হওয়া মানহানির মামলায় সম্প্রতি দুই বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল সুরাতের নিম্ন আদালত ৷ যার জেরে লোকসভার সাংসদ পদও খুইয়েছেন তিনি ৷ কংগ্রেস সূত্রে খবর, সোমবার গুজরাতের সুরাতের নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন রাহুল গান্ধি ৷
'মোদি' পদবি বিতর্কে রাহুল গান্ধিকে দু'বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সুরাত জেলা আদালতের বিচারক এইচ এইচ ভর্মা। যদিও আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়েছিল ৷ পাশাপাশি যাতে রাহুল গান্ধি উচ্চ আদালতে আবেদন করতে পারেন সেকারণে 30 দিনের জন্য় সাজাও স্থগিত রাখেন বিচারক। সময় থাকতে থাকতে এবার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আবেদন করতে চলেছেন ওয়ানাডের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ! সূত্রের খবর, সোমবার নিম্ন আদালতের কারাদণ্ডের রায়ের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ চেয়ে হলফনামাও জমা দিতে পারেন তিনি।
নির্বাচনী জনসভা থেকে "কী করে সব চোরের সাধারণ উপাধি মোদি হয়?" রাহুলের এই মন্তব্য় নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপির বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি ৷ সেই মামলাতেই সুরাত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত ভারতীয় দণ্ডবিধির 499 এবং 500 ধারার অধীনে রাহুল গান্ধিকে দোষী সাব্যস্ত করে। পাশাপাশি রাহুল যাতে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন তার জন্য় তাঁকে সময়ও দেন বিচারক ৷ কিন্তু তারপরও বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও উচ্চ আদালতে যাননি রাহুল ৷
অন্য়দিকে, বিজেপির পাল্টা প্রশ্ন, কংগ্রেস নেতা পবন খেরাকে গ্রেফতার করা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিন্তু রাহুলের ক্ষেত্রে গড়িমসি কেন? বিজেপির দাবি, রাহুল গান্ধি আসলে ইচ্ছাকৃতভাবেই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেননি ৷ কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই বিষয়টিকে নির্বাচনি অ্য়াজেন্ডা করতে চেয়েছিল কংগ্রেস ৷
আরও পড়ুন: ছ'মাসে সর্বাধিক সংক্রমণ দেশে! একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা 4 হাজার ছুঁইছুঁই
প্রসঙ্গত, আইনজীবী মহল দাবি করছেন, নিম্ন আদালতের রায় যদি স্থগিত বা বাতিল না হয়, অথবা উচ্চ আদালত যদি সাজা মুকুব না করে তবে 2024-এর লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধি প্রতিদ্বন্দ্বিতা নাও করতে পারেন। সেইসঙ্গে আইন অনুযায়ী, একজন সাংসদ বা বিধায়কের কারাদণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ছ'বছর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।