নয়াদিল্লি, 7 অগস্ট: হরিয়ানা নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ তাঁর দাবি, সেখানে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক হিংসা ও আর্থিক সংকট রাজ্যের মানুষকে সমস্যার মুখে ফেলেছে ৷ এর জন্য দায়ী ওই রাজ্যের বিজেপি ও জেজেপি-র জোট সরকার ৷ তাই হরিয়ানার 10টি লোকসভা আসন আগামী সাধারণ নির্বাচনে কংগ্রেস জেতার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে ওই রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন রাহুল ৷
এই নিয়ে আজ সোমবারই তিনি বৈঠকে বসতে চলেছেন হরিয়ানা নিয়ে ৷ সেই বৈঠকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, এআইসিসি-র সিনিয়র সদস্য়রা ও হরিয়ানার নেতারা উপস্থিত থাকবেন ৷ তার আগে তিনি দলের অন্দরে নির্দেশ দিয়েছেন, হরিয়ানা জুড়ে সেখানকার সরকারের ব্যর্থতাগুলি তুলে ধরতে হবে প্রচারে ৷
হরিয়ানায় কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা দীপক বাবারিয়া ৷ তিনি বলেন, "বিজেপি-জেজেপি সরকার দিল্লির সীমানা সংলগ্ন হরিয়ানার নুহ-মেওয়াত এলাকায় সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে । রাজ্য সরকার ব্যর্থতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে । সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ ওই রাজ্যের শাসক দলকে এই নিয়ে সমর্থন না করার কথা জানিয়েছে এবং সতর্ক করেছে রাজ্য সরকারকে ।’’
আরও পড়ুন: 137 দিন পর সংসদে ফিরলেন সাংসদ রাহুল, স্বাগত জানাল ‘ইন্ডিয়া’
তিনি আরও বলেন, ‘‘এমনকি রাজ্যের দু’টি বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকেও রাজ্য সরকারকে সাম্প্রদায়িক ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছিল, যা রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে । বিজেপি সাধারণ মানুষকে সাম্প্রদায়িক হিংসা ও আর্থিক দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে । চাকরির অভাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের উচ্চমূল্যের দ্বারা মারাত্মকভাবে সমস্যায় পড়ছেন মানুষ ৷’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধি সব নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার বার্তা দিয়েছেন ৷ কিন্তু সেটা কি সম্ভব ? কারণ, হরিয়ানায় একাধিক হেভিওয়েট নেতা রয়েছেন কংগ্রেসে ৷ তাঁদের একেকটা গোষ্ঠী রয়েছে ৷ ফলে তাঁদের একত্রিত করা কি সম্ভব ? এই নিয়ে দীপক বাবারিয়ার বক্তব্য, "আমাদের ফোকাস সংগঠনের দিকে । আমি সাংগঠনিক শক্তি পর্যালোচনা করতে রাজ্য সফর করেছি । প্রধান কাজ হল সমস্ত কর্মী ও নেতাদের সম্মান করা এবং তাঁদের শক্তিশালী করা । এটাই ঐক্য আনবে ৷’’
আরও পড়ুন: সাংসদ পদ ফিরল রাহুল গান্ধির, উচ্ছ্বসিত 'ইন্ডিয়া '