চণ্ডীগড়, 24 এপ্রিল: খালিস্তানপন্থী প্রচারক ওয়ারিস পঞ্জাব দে-এর প্রধান অমৃতপাল সিং-এর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর ৷ শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে) এর গুরপতবন্ত সিং পান্নু এবং বাব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনালের সদস্য অবতার সিং খান্দার প্রশিক্ষণের জন্য অমৃতপালের সঙ্গে দুটি জঙ্গি সংগঠনের দুই সদস্যের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল আইএসআই ৷ পঞ্জাব পুলিশের একটি সূত্র এ কথা জানিয়েছে । তারা আরও প্রকাশ করেছে যে, এনআইএ এবং র-এর আধিকারিকরা অসমের ডিব্রুগড় সংশোধনাগারে পৌঁছেছেন এবং অমৃতপালকে তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ।
সূত্র জানিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি অমৃতপালের কাছ থেকে স্লিপার সেল এবং পঞ্জাবের পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের এজেন্টদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে আগ্রহী । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অমৃতপালের মার্সিডিজও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে ৷ কারণ সেই বিলাসী গাড়ি তাঁকে মাদক চোরাকারবারীরা উপহার দিয়েছিল । তদন্তকারীরা আরও প্রকাশ করেছেন যে, অমৃতপাল জঙ্গিদের সহযোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন ।
সরকারি সূত্রের মতে, কেন্দ্রীয় সংস্থার গুপ্তচররাও অমৃতপালকে তাঁর এবং তাঁর সহযোগীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া অবৈধ অস্ত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান । তাঁরা আরও প্রকাশ করেছেন যে, অস্ত্রগুলি হয় জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে পাওয়া গিয়েছে বা পাকিস্তান থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হয়েছিল ।
অমৃতপালকে রবিবার পঞ্জাবের মোগা জেলা থেকে সন্ধে পৌনে সাতটা নাগাদ গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তারপরে ভাটিন্ডা থেকে অসমের ডিব্রুগড় সংশোধনাগারে তাঁকে পাঠানো হয় । পুলিশের আইজি সুখচাইন সিং গিল রবিবার সাংবাদিকদের বলেন যে, অমৃতসর পুলিশ এবং পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা শাখা রোদে গ্রামে থাকা অমৃতপালকে ধরতে একটি যৌথ অভিযান চালায় । শীর্ষ পুলিশ কর্তা আরও প্রকাশ করেন যে, অমৃতপালকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছিল পুলিশ ৷ গোটা গ্রামটিও ঘিরে ফেলা হয়েছিল ৷ এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: অমৃত পাল সিংয়ের গ্রেফতারি, শেষ হবে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদ ?