লখনৌ, 7 অক্টোবর : লখিমপুরের হিংসাত্মক ঘটনায় (Lakhimpur Kheri violence) সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের বর্তমান বিচারপতি দিয়ে তদন্তের দাবি জানালেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (Congress general secretary) প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra) ৷ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস মিশ্র এই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত, তাই কংগ্রেস নেত্রী রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগেরও দাবি তোলেন ৷
3 অক্টোবর মৃত 8 জনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বুধবার রাতে লখিমপুরে পৌঁছান ৷ তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমার মতে এমনকি মৃতদের পরিবারও মনে করছে এই তদন্ত সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের বর্তমান কোনও বিচারপতিকে দিয়ে করানো উচিত, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নয় ৷"
উত্তরপ্রদেশ সরকার এলাহাবাদ হাইকোর্টের (Allahabad High Court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি (retired Judge) প্রদীপকুমার শ্রীবাস্তবকে (Pradeep Kumar Srivastava) নিয়ে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করেছে ৷
কংগ্রেস নেত্রী জানান, তিনি যে ক'জন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, তারা কেউ সরকারের ঘোষিত ক্ষতিপূরণ নিয়ে উৎসাহী নয় ৷ তারা বিচার চায় ৷ এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে গিয়ে পুলিশি বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমাদের থামাতে সব পুলিশকে মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তারা মৃতদের পরিবারকে ঘিরে রেখেছিল, যাতে কেউ তাদের সঙ্গে দেখা করতে যেতে না পারে ৷ কিন্তু আপনি (সরকার) অপরাধীকে গ্রেফতার করার জন্য কাউকে নিয়োগ করেননি ৷" 3 অক্টোবর পুলিশ কোথায় ছিল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রিয়াঙ্কা গান্ধি বঢরা বলেন, "পুলিশ কি শুধুমাত্র নেতাদের আটকানোর জন্য ?"
মৃতদের পরিবারকে দেওয়া ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অস্পষ্ট বলে অভিযোগ করেন তিনি ৷ কংগ্রেস নেত্রী বলেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হচ্ছে এবং তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি আমার লড়াই চালিয়ে যাব ৷ পরিবারগুলিকে আমি কথা দিয়েছি ৷"
এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ রাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে আশিস মিশ্রের (Ashish Mishra) বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলেও, কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি ৷ মৃতদের মধ্যে 4 জন কৃষক ছিলেন ৷ ওই অঞ্চলে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছিলেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী (Uttar Pradesh Deputy Chief Minister) কেশবপ্রসাদ মৌর্য (Keshav Prasad Maurya) ৷ তাঁকে আনতে যাওয়ার পথে বিজেপি কর্মীরা ওই 4 জন চাষির উপর দিয়ে তাদের গাড়ি চালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ ৷ বাকি 4 জনের মধ্যে 2 জন বিজেপি কর্মী, রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্রের গাড়িচালক এবং একটি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিক রমন কাশ্যপ (Raman Kashyap) ৷ বাকিরা এই ঘটনার পর বিক্ষুব্ধদের পিটুনিতে মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও সাংবাদিক কাশ্যপ সেই সময় কৃষকদের বিক্ষোভের খবর সংগ্রহ করছিলেন ৷ তাঁকে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারলে তিনি মারা যান বলে জানায় পরিবার ৷