নয়াদিল্লি, 12 জুন : গতমাসে দেশে করোনা টিকার আকাল পড়ে গিয়েছিল ৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মাঝে করোনা টিকা কেন্দ্রগুলির বাইরে পড়েছিল লম্বা লাইন ৷ ভ্যাকসিন না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল বহু মানুষকে ৷ এই পরিস্থিতিতে টিকা নিয়ে সরকারি তথ্য দেখলে কপালে চোখ উঠবে ৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে 1.29 কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে কেন্দ্র ৷ তার মধ্যে মাত্র 22 লাখ ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে !
গত 4 জুন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মে মাসের জন্য 7.4 কোটি ডোজের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য বরাদ্দ ছিল 1.85 কোটি ডোজ ৷ তার মধ্যে বেসরকারি হাসপাতালগুলি নিয়েছিল 1 কোটি 29 লাখ ডোজ ৷ কিন্তু ভ্যাকসিন ব্যবহার হয়েছে অর্ধেকেরও অনেক কম ৷ মাত্র 22 লাখ ডোজ করোনা টিকা দিতে পেরেছে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ৷ বাকি টিকা পড়ে রয়েছে ৷ টিকার হাহাকারের মধ্যে এমন পরিস্থিতির কারণ জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা ৷ সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকার দাম অনেকটাই বেশি ৷ যে কারণে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকা নিতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ কম ৷ এমনই মত বিশেষজ্ঞদের ৷
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশ করা বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, "বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে বলা হয়েছিল বেসরকারি হাসপাতালগুলির জন্য 25 শতাংশ টিকার ডোজ বরাদ্দ করা হয়েছে ৷ কিন্তু তার মধ্যে মাত্র 7.5 শতাংশ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে ৷ এই রিপোর্টগুলি সর্বৈব মিথ্যা ৷ আমাদের ডেটার সঙ্গে এর কোনও মিল নেই ৷"
আরও পড়ুন : ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে সময়সীমা বাড়ানো আশঙ্কাজনক, বললেন অ্যান্থনি ফৌসি
চলতি মাসের প্রথমদিকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে টিকার দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার ৷ কোভিশিল্ডে দাম রাখা হয়েছে 780 টাকা প্রতি ডোজ ৷ রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিনের দাম 1,145 টাকা ৷ অন্যদিকে কোভ্যাকসিনের দাম রাখা হয়েছে 1,410 টাকা প্রতি ডোজ ৷ 21 জুন থেকে শুরু হবে নতুন ভ্যাকসিন নীতি ৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষণা অনুযায়ী, কম্পানিগুলির তৈরি 75 শতাংশ ভ্যাকসিন কিনবে কেন্দ্র ৷ তার মধ্যে 25 শতাংশ রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে ৷ বেসরকারি হাসপাতালগুলি বাকি 25 শতাংশ ভ্যাকসিন কিনতে পারবে ৷