ETV Bharat / bharat

Prez Greets Bengal People: পশ্চিমবঙ্গ দিবসে বাংলার জনগণকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির, স্মরণে নেতাজি থেকে সত্যজিৎ - রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

পশ্চিমবঙ্গ দিবসে বাংলার জনগণকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় নেতাজি থেকে শুরু করে সত্যজিৎ রায় - বাংলার প্রতিভাদের দেশের জন্য অবদানের কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রপতি ৷

Prez Greets Bengal People
Prez Greets Bengal People
author img

By

Published : Jun 20, 2023, 1:50 PM IST

নয়াদিল্লি, 20 জুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসে বাংলার জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় উঠে এসেছে বাংলার মনীষীদের নাম ৷ দেশের জাতীয় স্তোত্র ও জাতীয় সঙ্গীত উভয়ই বাংলার হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি ৷

এই নিয়ে তাঁর বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প ও সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধুলা ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের অনন্য কাহিনিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন মহান সংস্কারক, যাঁরা সমাজে নতুন শক্তির সঞ্চার করেছিলেন । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, ক্ষুদিরাম বোস এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো অনেক মহান দেশপ্রেমিকের কাছে জাতি চিরকাল ঋণী থাকবে বলে মত রাষ্ট্রপতির ৷

দেশকে সমৃদ্ধ করতে বাংলার মনীষীদের নানা অবদানের কথা তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তিনি বলেন, "বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং সত্যজিৎ রায়ের মতো সৃজনশীল আইকনরা আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন । আমাদের জাতীয় স্তোত্র - জন গণ মন এবং জাতীয় সঙ্গীত - বন্দেমাতরম উভয়ই সমগ্র দেশের জন্য বাংলার উপহার ।"

আরও পড়ুন: রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী, বোসকে কড়া চিঠি মমতার

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ অতীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল । পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা দেশের জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে প্রাণবন্ত করে তুলে আরও একটি তরঙ্গ আনতে পারেন । পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং উদযাপনের সাফল্য কামনা করি ।"

উল্লেখ্য, নবান্ন তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয় রাজভবনে ৷ মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । নিজের বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উৎকর্ষের কথা তুলে ধরলেও হিংসা ও দুর্নীতির কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময় থেকে 20 জুন দিনটিকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে । সেই পথেই হেঁটে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের উদ্যোগ নেন । তাতেই রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত আরও তীব্র হয় ৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একটি চিঠি লিখে রাজভবনের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেছেন ৷

নয়াদিল্লি, 20 জুন: পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসে বাংলার জনগণকে শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তাঁর শুভেচ্ছা বার্তায় উঠে এসেছে বাংলার মনীষীদের নাম ৷ দেশের জাতীয় স্তোত্র ও জাতীয় সঙ্গীত উভয়ই বাংলার হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের অবদানের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি ৷

এই নিয়ে তাঁর বিবৃতিতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প ও সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি, খেলাধুলা ও অন্যান্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের অনন্য কাহিনিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । রাজা রামমোহন রায়, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং স্বামী বিবেকানন্দ ছিলেন মহান সংস্কারক, যাঁরা সমাজে নতুন শক্তির সঞ্চার করেছিলেন । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস, ক্ষুদিরাম বোস এবং নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো অনেক মহান দেশপ্রেমিকের কাছে জাতি চিরকাল ঋণী থাকবে বলে মত রাষ্ট্রপতির ৷

দেশকে সমৃদ্ধ করতে বাংলার মনীষীদের নানা অবদানের কথা তুলে ধরেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ৷ তিনি বলেন, "বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কাজী নজরুল ইসলাম, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এবং সত্যজিৎ রায়ের মতো সৃজনশীল আইকনরা আমাদের দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন । আমাদের জাতীয় স্তোত্র - জন গণ মন এবং জাতীয় সঙ্গীত - বন্দেমাতরম উভয়ই সমগ্র দেশের জন্য বাংলার উপহার ।"

আরও পড়ুন: রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনে স্তম্ভিত মুখ্যমন্ত্রী, বোসকে কড়া চিঠি মমতার

তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গ অতীতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র ছিল । পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা দেশের জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রকে প্রাণবন্ত করে তুলে আরও একটি তরঙ্গ আনতে পারেন । পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজ্যবাসীকে দেওয়া শুভেচ্ছা বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, "আমি পশ্চিমবঙ্গের জনগণকে আমার শুভেচ্ছা জানাই এবং উদযাপনের সাফল্য কামনা করি ।"

উল্লেখ্য, নবান্ন তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হয় রাজভবনে ৷ মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শুভেচ্ছা বার্তা পড়ে শোনান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । নিজের বক্তব্যে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন উৎকর্ষের কথা তুলে ধরলেও হিংসা ও দুর্নীতির কড়া সমালোচনা করেন রাজ্যপাল ।

প্রসঙ্গত, প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সময় থেকে 20 জুন দিনটিকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে । সেই পথেই হেঁটে বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের উদ্যোগ নেন । তাতেই রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত আরও তীব্র হয় ৷ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় সোমবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একটি চিঠি লিখে রাজভবনের সিদ্ধান্তের কড়া বিরোধিতা করেছেন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.