ETV Bharat / bharat

Doctors Save Premature Baby: 700 গ্রামের প্রিম্যাচিওর শিশু, মাতৃগর্ভের মতো পরিবেশে রেখে পুনর্জন্ম দিলেন ডাক্তাররা

author img

By

Published : Mar 6, 2023, 7:49 PM IST

700 গ্রামের প্রিম্যাচিওর শিশুকে (Premature Baby weighing 700 grams) মাতৃগর্ভের মতো পরিবেশে রেখে পুনর্জন্ম দিয়েছেন ডাক্তাররা (Doctors Save Premature Baby)৷ কর্ণাটকের হাসপাতালে অসাধ্য সাধন করে দেখালেন চিকিৎসকরা ৷

Doctors Save Premature Baby ETV Bharat
700 গ্রামের প্রিম্যাচিওর শিশু

গদগা (কর্ণাটক), 6 মার্চ: প্রিম্যাচিওর বাচ্চার (Premature Baby weighing 700 grams) জন্ম দিয়েছিলেন মা ৷ সদ্যোজাত ঠিক মতো বেড়েই ওঠেনি ৷ ওজন ছিল মাত্র 700 গ্রাম (Doctors Save Premature Baby)৷ সেই শিশুকে মায়ের গর্ভের মতো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে রেখে পুনর্জন্ম দিলেন চিকিৎসকরা ৷ কর্ণাটকের গদাগে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ সেখানকার জিআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের টানা তিন মাস পরিশ্রমের পর মিরাকল ঘটেছে ৷ সুস্থ হয়ে বাবা-মায়ের কোলে ফিরে গিয়েছে সেই একরত্তি ৷

গদগা জিআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এখন ঈশ্বরের মতোই সেই সদ্যোজাতের বাবা-মায়ের চোখে ৷ দুন্দুর গ্রামের রাজেশ্বরী চিককানাগৌড়া নামে এক মহিলা একটি বেসরকারি হাসপাতালে অকাল প্রসবের মাধ্যমে যমজ সন্তানের জন্ম দেন । একটি ছেলে ও একটি মেয়ে । তবে গর্ভাবস্থার মাত্র 24 সপ্তাহে জন্ম হওয়ায় সেই যমজ শিশুর ঠিকমতো বিকাশ ঘটেনি । জন্মের দ্বিতীয় দিনে কন্যাসন্তানটির মৃত্যু হয় । যমে-মানুষে টানাটানি চলছিল পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রেও ৷ কারণ সেই শিশুটির ওজন ছিল মাত্র 700 গ্রাম এবং সেও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি ।

ফুসফুস ঠিকমতো গড়ে না ওঠায় সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল । শিশুটির চোখ, কান, রক্তচাপ ইত্যাদির সমস্যা থাকায় তার আশাও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা । এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ ছিল ব্যয়বহুল । সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার পর অভিভাবকরা অবশেষে গদগা জিআইএমএসে ভর্তি করান শিশুটিকে । সেখানকার চিকিৎসকরাই চমকে দিয়েছেন সবাইকে ৷

আরও পড়ুন: ইতালিতে নতুন জীবন শুরু করছে নর্দমা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত

শিশুটির শরীর ঠিকমতো গড়ে না ওঠায় চিকিৎসকরা মাতৃগর্ভের মতো কৃত্রিম প্রজননের পরিবেশ তৈরি করে সেখানে রেখে শিশুটির চিকিৎসা চালাতে থাকেন ৷ টানা তিন মাস ধরে জিআইএমএস মাদার কেয়ার ইউনিটে শিশুটির এই বিশেষ চিকিৎসা করা হয় । ফুসফুসের বিকাশ না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে ভেন্টিলেটরে ফুসফুসের স্থান পর্যন্ত পাইপ স্থাপন করে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় ।

একটি বড় চিকিৎসক দল দিনরাত শিশুটির চিকিৎসা করেছে, ফলে শিশুটির ওজন বেড়েছে । আর এখন সে মায়ের কোলে ফিরে গিয়েছে । এই দম্পতির চার বছর সন্তান হয়নি । চার বছর পর সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয় ৷ তাই দ্বিতীয়টিকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বাবা-মা ৷

গদগা (কর্ণাটক), 6 মার্চ: প্রিম্যাচিওর বাচ্চার (Premature Baby weighing 700 grams) জন্ম দিয়েছিলেন মা ৷ সদ্যোজাত ঠিক মতো বেড়েই ওঠেনি ৷ ওজন ছিল মাত্র 700 গ্রাম (Doctors Save Premature Baby)৷ সেই শিশুকে মায়ের গর্ভের মতো কৃত্রিম পরিবেশ তৈরি করে সেখানে রেখে পুনর্জন্ম দিলেন চিকিৎসকরা ৷ কর্ণাটকের গদাগে এই ঘটনা ঘটেছে ৷ সেখানকার জিআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকদের টানা তিন মাস পরিশ্রমের পর মিরাকল ঘটেছে ৷ সুস্থ হয়ে বাবা-মায়ের কোলে ফিরে গিয়েছে সেই একরত্তি ৷

গদগা জিআইএমএস হাসপাতালের চিকিৎসকরাই এখন ঈশ্বরের মতোই সেই সদ্যোজাতের বাবা-মায়ের চোখে ৷ দুন্দুর গ্রামের রাজেশ্বরী চিককানাগৌড়া নামে এক মহিলা একটি বেসরকারি হাসপাতালে অকাল প্রসবের মাধ্যমে যমজ সন্তানের জন্ম দেন । একটি ছেলে ও একটি মেয়ে । তবে গর্ভাবস্থার মাত্র 24 সপ্তাহে জন্ম হওয়ায় সেই যমজ শিশুর ঠিকমতো বিকাশ ঘটেনি । জন্মের দ্বিতীয় দিনে কন্যাসন্তানটির মৃত্যু হয় । যমে-মানুষে টানাটানি চলছিল পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রেও ৷ কারণ সেই শিশুটির ওজন ছিল মাত্র 700 গ্রাম এবং সেও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি ।

ফুসফুস ঠিকমতো গড়ে না ওঠায় সে শ্বাসকষ্টে ভুগছিল । শিশুটির চোখ, কান, রক্তচাপ ইত্যাদির সমস্যা থাকায় তার আশাও প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা । এছাড়াও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ ছিল ব্যয়বহুল । সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হওয়ার পর অভিভাবকরা অবশেষে গদগা জিআইএমএসে ভর্তি করান শিশুটিকে । সেখানকার চিকিৎসকরাই চমকে দিয়েছেন সবাইকে ৷

আরও পড়ুন: ইতালিতে নতুন জীবন শুরু করছে নর্দমা থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত

শিশুটির শরীর ঠিকমতো গড়ে না ওঠায় চিকিৎসকরা মাতৃগর্ভের মতো কৃত্রিম প্রজননের পরিবেশ তৈরি করে সেখানে রেখে শিশুটির চিকিৎসা চালাতে থাকেন ৷ টানা তিন মাস ধরে জিআইএমএস মাদার কেয়ার ইউনিটে শিশুটির এই বিশেষ চিকিৎসা করা হয় । ফুসফুসের বিকাশ না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে ভেন্টিলেটরে ফুসফুসের স্থান পর্যন্ত পাইপ স্থাপন করে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয় ।

একটি বড় চিকিৎসক দল দিনরাত শিশুটির চিকিৎসা করেছে, ফলে শিশুটির ওজন বেড়েছে । আর এখন সে মায়ের কোলে ফিরে গিয়েছে । এই দম্পতির চার বছর সন্তান হয়নি । চার বছর পর সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও প্রথম সন্তানের মৃত্যু হয় ৷ তাই দ্বিতীয়টিকে ফিরে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বাবা-মা ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.