হলদোয়ানি, 10 জানুয়ারি: "যত দ্রুত সম্ভব দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইন লাগু করা উচিত", এমনটাই মনে করেন প্রবীণ তোগাড়িয়া ৷ সোমবার অন্তর্রাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি পৌঁছন (Dr. Pravin Togadia, the founder of Antarrashtriya Hindu Parishad) ৷ সেখানে তিনি হিন্দু ধর্মের মানুষের প্রতি হুমকি বাড়ছে বলে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন ৷ এই কারণে কেন্দ্রীয় সরকারের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেওয়ার কথা তোলেন ৷ তাঁর আশঙ্কা, আইন জারি না করলে ভবিষ্যতে হিন্দুরা সংকটে পড়বে ৷ তাঁর মতে, দু'টির বেশি সন্তান থাকলে সেই পরিবার সরকারি সুবিধে পাবে না (Pravin Togadia demands Population Controll Bill enactment in India) ৷
শুধু সরকারি সুবিধে থেকে বঞ্চিত হওয়া নয়, দু'টির বেশি সন্তান থাকলে সেই পরিবারের ভোট দেওয়া, সরকারি চাকরি পাওয়ার অধিকার থাকবে না, জানান তোগাড়িয়া ৷ তাহলেই দু'বছরের মধ্যে দেশের জনসংখ্যা পুরোপুরি ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে ৷ এমনকী সংবিধানে বেশ কিছু সংশোধন করে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই সাংবিধানিক এবং অন্য উচ্চপদে চাকরি দেওয়ার আইনি ব্যবস্থা করতে হবে ৷ অন্য কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ সেখানে জায়গা পাবে না ৷ এর কারণ হিসেবে তিনি সৌদি আরব-সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশের প্রসঙ্গ টানেন ৷ তিনি জানান, সে সব দেশে সাংবিধানিক উচ্চপদে হিন্দুরা বসার সুযোগ পায় না ৷ তাহলে ভারতেও তেমনটাই হওয়া উচিত ৷ এর ফলে একটি বিশেষ ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী, ডিএম, এসপি, বিচারপতি হতে পারবে না ৷
আরও পড়ুন: হিন্দু রীতি মেনে কর্ণাটকের অটোচালকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেলজিয়ামের কন্যের
তিনি আরও বলেন, "আগামী দিনে হিন্দুদের অস্তিত্ব বিপদের মুখে পড়তে চলেছে ৷ যদি হিন্দুরা সরকার গঠন করে, তাহলে হিন্দুদের কোনও ঝুঁকি নেই ৷ মহারাজা হরি সিং জম্মু ও কাশ্মীরে যতদিন শাসন করেছেন, সেই সময় উপত্যকায় 75 শতাংশ মুসলিম ছিল ৷ তখন কোনও সমস্যা হয়নি তাই সর্বত্র হিন্দু সরকার থাকা প্রয়োজন ৷"