চিত্রদুর্গা (কর্ণাটক), 10 জানুয়ারি: গোয়ায় 4 বছরের সন্তানকে খুনের ঘটনায় নয়া তথ্য পেল পুলিশ ৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত মা নিজের সন্তানকে 36 ঘণ্টা আগেই হত্যা করেছিলেন ৷ মৃত শিশুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রবীণ চিকিৎসকরা। ঘটনায় ইতিমধ্য়েই গ্রেফতার করা হয়েছে শিশুটির মা সূচনা শেঠকে ৷ সোমবার রাতে কর্ণাটকের চিত্রদুর্গ থেকে প্রথমে তাঁকে আটক করা হয় ৷ পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তখন তিনি গোয়া থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিলেন ৷ পুলিশের অনুমান, পেশায় একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স স্টার্ট-আপের সিইও তার 4 বছরের ছেলেকে খুন করে দেহ একটি স্যুটকেসে ভরে নিয়ে যাচ্ছিলেন । গোয়া পুলিশের থেকে খবর পেয়েই সূচনাকে গ্রেফতার করে স্থানীয় পুলিশ ।
এই ঘটনায় হিরিউর তালুক হাসপাতালের আধিকারিক ডাঃ কুমার নায়েক সাংবাদিকদের বলেন, "শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ৷ চিকিৎসা পরিভাষায় বিষয়টি স্মোদারিং বলা হয়। কাপড় বা বালিশ জাতীয় কিছু দিয়ে নাক মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ৷ মৃত্যুর ধরন দেখে মনে হচ্ছে বালিশ বা অন্য কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, মায়োফাইব্রিলের রাসায়নিক পরিবর্তনের কারণে শিশুটির শরীরের পেশিগুলি শক্ত হয়ে গিয়েছিল ৷ সব দেখে মনে হচ্ছে মৃত্যুর পর 36 ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে ৷ তবে সঠিক কোন সময়ে মৃত্যু হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না ৷ শিশুটির শরীরে রক্তক্ষরণ বা ছটফটানির কোনও চিহ্ন নেই ৷"
অভিযুক্ত শিশুটির মা সূচনা শেঠ 'দ্য মাইন্ডফুল এআই ল্যাব'-এর সিইও। তার লিঙ্কডইন প্রোফাইল অনুসারে দেখা গিয়েছে, তিনি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও নৈতিকতা বিশেষজ্ঞ হওয়ার পাশাপাশি ডেটা বিজ্ঞানী ৷ স্টার্টআপ এবং শিল্প গবেষণা ল্যাবগুলিতে ডেটা সায়েন্স টিমগুলিকে পরামর্শ দেওয়া এবং মেশিন লার্নিং সমাধানগুলি স্কেলিং করার ক্ষেত্রে 12 বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর । আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এথিক্স তালিকার 100 জন বুদ্ধিমতী মহিলার মধ্যে রয়েছেন সূচনা ৷ ডেটা অ্যান্ড সোসাইটিতে মোজিলা ফেলো, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টারের ফেলো এবং রামন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের একজন রিসার্চ ফেলোও ছিলেন । তিনি প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণের পেটেন্টও রাখেন ৷
আরও পড়ুন :