উত্তরকাশী (উত্তরাখণ্ড), 6 নভেম্বর : আজ বন্ধ হল কেদারনাথ আর যমুনোত্রী মন্দিরের দরজা ৷ শীতের মরশুমে আগামী 6 মাস তীর্থযাত্রীরা যেতে পারবেন না এখানে, জানিয়েছে 'উত্তরাখণ্ড চার ধাম দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড' (Uttarakhand Char Dham Devasthanam Management Board) ৷ এর আগে শুক্রবার গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়েছে ৷ এরপর বন্ধ হবে বদ্রীনাথ মন্দিরও ৷
উত্তরাখণ্ডের 4টি তীর্থস্থান যমুনোত্রী (Yamunotri), গঙ্গোত্রী (Gangotri), কেদারনাথ (Kedarnath) এবং বদ্রীনাথকে (Badrinath) 'চার ধাম' (Char Dham) বলা হয় ৷ সূত্রে জানা গিয়েছে, 20 নভেম্বর বদ্রীনাথ মন্দিরও বন্ধ হবে ৷
শনিবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে কেদারনাথের মন্দির বন্ধ উদযাপিত হবে ৷ কেদারনাথ থেকে একটি পালকিতে ‘ভোগ মূর্তি’ যাবে রামপুরে ৷ রামপুর থেকে ওই পালকি পৌঁছাবে উখিমঠ ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে এবং সেখানে 6 মাস সময়কাল থাকবেন দেবতা ৷ একই ভাবে যমুনোত্রী থেকে দেবী যমুনা নেমে আসবেন জানকি চট্টির কাছে খারসালিতে এবং এখানে থাকবেন ৷
আরও পড়ুন : Narendra Modi : দেশের মঙ্গল কামনায় কেদারনাথে প্রার্থনা প্রধানমন্ত্রীর
ইতিমধ্যে, শুক্রবার ধর্মীয় আচার মেনে 11.45 মিনিটে গঙ্গোত্রী মন্দিরের দরজা বন্ধ করা হয়েছে ৷ এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে বহু তীর্থযাত্রী, স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়েছিলেন ৷ শীতের শুরুতে দেবী গঙ্গোত্রীকে নিয়ে উৎসব ডোলি (পালকি) রওনা দিয়েছে মুখবায় (Mukhba) ৷ আজ ভাইফোঁটায় দেবী পৌঁছাবেন সেখানে ৷ 6 মাস তিনি এখানে অধিষ্ঠিত থাকবেন ৷
উত্তরকাশীর জেলাশাসক (District Magistrate) ময়ূর দীক্ষিত (Mayur Dixit) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ বছর 32 হাজার 948 জনেরও বেশি সংখ্যক তীর্থযাত্রী গঙ্গোত্রী ধামে এসেছিলেন ৷
নৈনিতাল হাইকোর্ট (Nainital High Court) 16 সেপ্টেম্বর চার ধাম যাত্রার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর 18 সেপ্টেম্বর চার ধাম যাত্রার সূচনা হয়েছিল ৷ তবে শুধুমাত্র কোভিড-19 ভ্যাকসিনের দু'টি ডোজ নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদেরই তীর্থক্ষেত্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ কোভিড-19 নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয় ৷
দেবস্থানম ম্যানেজমেন্ট বোর্ড-এর তরফে জানানো হয়েছে, 22 অক্টোবর পর্যন্ত 2 লাখেরও বেশি ভক্ত এই চারটি মন্দির দর্শনে এসেছিলেন ৷ প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে, এমনকি বিদেশ থেকেও বহু পর্যটক এই চারটি তীর্থক্ষেত্রে আসেন ৷ প্রত্যেক বছর ভারী তুষারপাতের জন্য শীতের শুরুতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মন্দির ৷